তার সরকার ধর্মনিরপেক্ষতা ও বহুমতসহিষ্ণু সমাজ প্রতিষ্ঠায় সংকল্পবদ্ধ বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “এ লক্ষ্য অর্জনে জাপানকে আমাদের পাশে চাই।”
রোববার টোকিওতে বাংলাদেশের জাপানি বন্ধু ও ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। আকাসাকা প্যালেসে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে জাপানে বাংলা ভাষা, দর্শন ও সংস্কৃতির অন্যতম প্রচারক অধ্যাপক তুশোয়োশি নারার বিধবা স্ত্রী মিসেস নারা উপস্থিত ছিলেন।
এ্ই বৈঠকের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার চার দিনের টোকিও সফরসূচি শুরু হয়েছে।
আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তার সরকারের অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া জোরদার করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের সরকারের নীতি হচ্ছে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদকে বরদাশত না করা। এরই অংশ হিসেবে আমরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করছি।”
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার স্বাধীনতার চেতনা, ধর্মনিরপেক্ষতা ও বহুমতসহিষ্ণু সমাজ প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। তিনি বলেন, “এ লক্ষ্য অর্জনে বিশেষ করে অবকাঠামো ও মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে জাপানকে আমাদের পাশে চাই।”
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও জাপানের জনগণের মধ্যকার চমৎকার সম্পর্ক লালনের জন্য বন্ধু ও রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামে আপনাদের অবদান কখনো শোধ হবে না। আপনারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু এবং আমাদের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন।”
প্রধানমন্ত্রী অধ্যাপক তাকাশি তুশোয়োশি নারা, তাকাশি হায়াকাওয়া ও জেনারেল ফুজিওয়ারার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “তারা চলে গেছেন, কিন্তু তারা চিরকাল আমাদের হৃদয়ে জাগ্রত থাকবেন। তাদের অবদান সব সময় বাংলাদেশের মানুষকে প্রেরণা জোগাবে।”
অনুষ্ঠানে প্রয়াত অধ্যাপক নারা ও অন্যান্য জাপানি প্রয়াত বন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।