রিয়ালের ‘লা দেসিমা’য় স্বপ্ন ভঙ্গ অ্যাটলেটিকোর

রিয়ালের ‘লা দেসিমা’য় স্বপ্ন ভঙ্গ অ্যাটলেটিকোর

নির্ধারিত সময়ের খেলা প্রায়ই শেষ। কেবলই শেষ বাঁশি বেজে উঠার অপেক্ষা। ইতিহাসের দরজা খুলে যাবে এক গোলে এগিয়ে থাকা অ্যাটলেটিকোর সামনে।83003_1

কিন্তু ঠিক খেলার ৯০ মিনেটে সার্জিও রামোসের গোল। আর একটি গোলই এলোমেলো করে দিলো সবকিছু। অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে ৪-১ গোলের ব্যবধানে জিতে একযুগ পর ইউরোপ সেরা রিয়াল মাদ্রিদ।

স্প্যানিশ লা লিগা থেকে চ্যাম্পিনস লিগ- মওসুমজুড়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের চমক। ইতোমধ্যে লা লিগা নিজেদের করে নিয়েছে অ্যাটলেটিকো। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালেও সেই ধারাবাহিকতা। দিয়াগো গডিনের হেডে ৩৬ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় অ্যাটলেটিকো।

প্রায় ৫৪ মিনিট এগিয়ে থেকে তখন শেষ বাঁশি শোনার উপেক্ষায় অ্যাটলেটিকোর সমর্থকরা। কিন্তু ৯০ মিনিটে কর্ণার থেকে রামোস হেড করে রিয়ালকে সমতায় ফেরালে স্বপ্ন ভঙ্গের সূচনা হয় দিয়াগো সিমেওনের দলের। বাকিটা যেন কেবলই দুঃস্বপ্ন।

অতিরিক্ত সময়ে অ্যাটলেটিকোকে দুমড়েমুচড়ে দেন গ্যারেথ বেল, মার্সেলো আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। মারিয়ার একটি দারুণ ক্রস থেকে অতিরিক্ত সময়ের ১১০ মিনিটে বেল রিয়ালকে এগিয়ে দেন।

খেলার ১১৮ মিনিট মার্সেলোর পা থেকে তৃতীয় গোলটি আসে। আর ১২০ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো পেনাল্টি থেকে অ্যাটলেটিকোর কফিনে শেষ ফেরেকটি ঠুকে দেন। তখন একযুগ পর চ্যাম্পিয়নস লিগের দশম শিরোপা ‘দা দেসিমা’ জিতে উন্মত্ত চিত্কার আর উদ্দাম আনন্দে হারিয়ে যায় রিয়াল সমর্থকরা।

খেলাধূলা