থাইল্যান্ডের সেনাপ্রধান জেনারেল প্রেয়াথ চান-ওচা নিজেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন। শুক্রবার তিনি নিজেই এই ঘোষণা দেন। সরকার প্রধানের এই পদে স্থায়ীভাবে কাউকে না পাওয়া পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রিত্বের দায়িত্বপালন করবেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি রাখার আদেশ দেন দেশটির সেনাপ্রধান।
একইসঙ্গে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করাসহ নিয়মিত টেলিভিশন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানগুলোও বন্ধ করে দিয়েছেন। কারফিউ জারি থাকা অবস্থায় সেখানকার সাধারণ মানুষের মধ্যে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
গত কয়েক মাস ধরে অব্যাহত রাজনৈতিক সংকটের পর সেনাবাহিনী মঙ্গলবার সামরিক শাসন জারির ঘোষণা দেয়।
এদিকে থাইল্যান্ডে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছে পশ্চিমা দেশগুলো ও থাইল্যান্ডের প্রতিবেশী দেশগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, রাজনৈতিক নেতাদের আটক করা নিয়ে আমি খুবই উদ্বিগ্ন এবং তাদের মুক্তির দাবি করছি।
ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও অস্ট্রেলিয়া গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে এবং জাপান বলেছে, থাইল্যান্ডে যেন খুব দ্রুত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হয়।