ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হককে গুলি করে এবং গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- আনোয়ার ও আলাউদ্দিন।
বৃহস্পতিবার রাতে ফুলগাজী সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে ফেনী জেলা পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষ নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, হত্যায় জড়িত সন্দেহে রাতে অভিযান চালিয়ে ২ জনকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, এদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উন্মোচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ফেনী সদরের বিলাসী হোটেলের সামনে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হককে গাড়ির ভেতরে গুলি করে ও পুড়িয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার গাড়িতে তার সঙ্গে থাকা আরো ৩ জন দগ্ধ হয়েছেন।
জানা যায়, চেয়ারম্যান একরামুল হক গাড়িতে করে ফেনী সদর থেকে ফুলগাজী যাওয়ার পথে বিলাসী হোটেলের সামনে দুই পাশ থেকে ৮ থেকে ১০ জন দুর্বৃত্ত এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে চেয়ারম্যান একরামুল হক গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় দুর্বৃত্তরা গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে ৩ জন বের হতে পারলেও গুলিবিদ্ধ একরামুল হক বের হতে পারেননি। তিনি গাড়ির ভেতরেই আগুনে পুড়ে মারা যান। পরে পুলিশ ও দমকল বাহিনী এসে আগুন নিভিয়ে একরামুল হকের পুড়ে যাওয়া লাশ উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
পরে নিহত একরামুল হকের ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় বিএনপির নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী মিনারের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩৫ জনকে আসামি করা হয়।