থাইল্যান্ডে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা হাতে নিয়েছে সেনাবাহিনী। দেশটির সেনাপ্রধান প্রাউত চ্যান-ও-চা জানিয়েছেন সেনাবাহিনী সরকারের ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন। খবর বিবিসি।
সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনী দেশে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করবে। এবং রাজনীতিক পদ্ধতি পুনর্গঠন করবে।
প্রাউত চ্যান-ও-চা বলেন, দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সেনা, বিমানবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় শান্তি রক্ষা কমিটি ২২ মে বিকেল সাড়ে ৪টায় ক্ষমতা দখল করলো।
টেলিভিশন বক্তৃতায় সেনাপ্রধান আরও বলেন, দেশের সকল নাগরিককে শান্ত থাকবে হবে এবং সরকারি কর্মচারীদের স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে হবে।
এর আগে বেশ কয়েকমাস ধরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পর গত মঙ্গলবার দেশটিতে সামরিক শাসন জারি করে সেনাবাহিনী।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে থাইল্যান্ডে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের মুখে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আগাম নির্বাচন দেন ইংলাক। তবে বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় তা বাতিল হয়ে যায়।
দেশটির বিভিন্ন শহরে ইতিমধ্যে সেনারা অবস্থান গ্রহণ করেছে।
গত বছরের শেষে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়। বিশেষ করে যখন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা সংসদের নিম্নকক্ষ ভেঙ্গে দেন।
থাইল্যান্ডে শেষবার সামরিক আইন জারি করা হয়েছিল ২০০৬ সালে। সে সময় এক সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ইংলাকের ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।