ইরান সফরে আসা জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষকরা দাবি করেছেন ইরান তাদের পরিদর্শকদের একটি সন্দেহজনক সামরিক স্থাপনা পরিদর্শন করার অনুমতি দেয়নি।
তেহরানের দক্ষিণে অবস্থিত পারচিন সামরিক স্থাপনা পরিদর্শনে অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে ইরান কোন সাড়া দেয়নি বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ ।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সামরিক কাজে ব্যবহারের ব্যাপ্তি অনুসন্ধানে সম্প্রতি ইরান সফর করেন জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক দল। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে তারা সম্প্রতি দু’দিনের এক সফরে ইরানে এসেছিলেন।
ইরান দাবি করে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচির উদ্দেশ্য পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ইরানবিরোধী পাশ্চাত্যের দেশগুলো দাবি করছে, ইরান সামরিক উদ্দেশ্যেই পরমাণু কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
সফর শেষ হওয়ার পর আইএইএ ভিয়েনা থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, দুই দিনের আলোচনা বৈঠকে তাদের প্রতিনিধিদল কোন ধরনের চুক্তিতে উপনীত হওয়া ছাড়াই ইরান থেকে ফেরত এসেছেন।
উভয় পক্ষের মধ্যে গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার বৈঠকও কোন ফলাফল ছাড়াই শেষ হয়।
আইএইএর মহাপরিচালক ইউকিয়া আমানো এক বিবৃতিতে বলেন, এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে পারচিন সামরিক স্থাপনা পরিদর্শনের অনুমতি দিতে আমাদের অনুরোধে ইরান সাড়া দেয়নি।
পশ্চিমা দেশগুলো সন্দেহ করে আসছে ইরান এই সামরিক স্থাপনাটিতে বিগত কয়েক বছর ধরে তাদের পরমাণু সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অস্ত্রের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছে।
তবে ভিয়েনায় অবস্থিত আনবিক শক্তি সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে নিযুক্ত ইরানের প্রতিনিধি বলেছেন, এ ব্যাপারে ভবিষ্যতে আরও আলোচনার আশা করে ইরান।
ইরানের প্রতিনিধি আলি আসগার সুলতানিয়াহ বলেন, সর্বশেষ বৈঠকে উভয়পক্ষে নিবিড় আলোচনা হয়েছে। তিনি আশা করেন ভবিষ্যতে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
তেহরানের পারমাণবিক অগ্রগতির মুখে ইসরায়েল শংকিত হয়ে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাতে পারে এই গুজবের প্রেক্ষিতেই আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার সহকারী মহাপরিচালকের নেতৃত্বে পর্যবেক্ষক দলটি দুদিনের ইরান সফর করেন।