চেহারায় বার্ধক্য ঘাঁটি গাড়ার দিন এবার শেষ। প্রকৃতির ঐশ্বর্য কাজে লাগিয়ে শরীরে তারুণ্য ফিরিয়ে আনার রহস্য করায়ত্ব করেছেন বিজ্ঞানীরা। সুখের কথা, নয়া আবিষ্কার এবং তার আবিষ্কারক, দুই-ই ষোলো আনা ভারতীয়।
কয়েক বছর আগে ভারতের হিমাচলের লাহুল স্পিতি অঞ্চলে সাড়ে চার হাজার ফিট উচ্চতায় আয়ুর্বেদিক গুণ সমৃদ্ধ উদ্ভিদ পোটেনশিলার খোঁজ পেয়েছিলেন বৈজ্ঞানিক ও ওষধি অনুসন্ধান পরিষদের বিজ্ঞানী সঞ্জয় কুমার।
উল্লেখ্য, চরম প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিবেশেও গাছটি দিব্যি বেঁচে থাকে। এবার এই গুণটি কাজে লাগিয়ে এক যুগান্তকারী ওষুধ আবিষ্কার করেছেন বলে দাবি সঞ্জয় কুমারের।
তিনি জানিয়েছেন, পোটেনশিলার মধ্যে রয়েছে সুপার অক্সাইড ডিসমিউটেজ নামে এক বিশেষ উৎসেচক যা তাকে প্রকৃতির বিভিন্ন প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম।
বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কুমার বুঝতে পারেন, প্রতিকুলতার সঙ্গে লড়াই করার এই শক্তি কাজে লাগিয়ে ক্ষয় রোধ করে জীবনীশক্তি বাড়িয়ে তোলার সম্ভাবনা রয়েছে এই উৎসেচকের।
তার দাবি, বয়স প্রতিরোধকারী ক্রিমে সুপার অক্সাইড ডিসমিউটেজ মেশালে মানবদেহের বার্ধক্যজনিত ক্ষয়ও প্রতিরোধ করা যাবে।
উদ্ভিদ থেকে উৎসেচকটি নিঃসৃত করেছেন পালমপুরের বৈজ্ঞানিক ও ওষধি অনুসন্ধান পরিষদের অধীনে ইকআই-আইএইচবিটি সংস্থার বিজ্ঞানীরা।
সঞ্জয় কুমারের নেতৃত্বে সংস্থার গবেষণাগারে কাজটি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর বাণিজ্যিক প্রয়োগের জন্য ইতিমধ্যে কলকাতার এক আয়ুর্বেদিক ওষুধ নির্মাতা সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সবকিছু ঠিকঠাক চললে, আর কিছু দিনের মধ্যেই বাজারে মিলবে বয়স কমানোর অব্যর্থ দাওয়াই।