গত কয়েক মাস যাবত থাইল্যান্ডে সরকার এবং বিরোধী দলের মধ্যে উত্তেজনার পর থাই সেনাবাহিনী দেশটিতে সামরিক আইন জারি করেছে।
সামরিক আইন প্রয়োগের জন্য সেনাবাহিনী নিজেদের ব্যাপক ক্ষমতাও প্রদান করেছে।
সামাজিক মাধ্যমে পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, সৈন্যরা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
সেনাবাহিনী বলছে, এর মাধ্যমে তারা দেশব্যাপী নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করছে এবং এটি কোন অভ্যুত্থান নয়।
এমাসের শুরুর দিকে থাই একটি আদালত প্রধানমন্ত্রী ইংলাক চিনাওয়াতসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেয়।
গত বেশ কয়েক মাস ধরেই বিরোধী দল অনির্বাচিত একটি প্রশাসনের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে বিক্ষোভ করে যাচ্ছে, যারা কিনা সংবিধানেও পরিবর্তন করতে পারবে।
সংবাদদাতারা বলছেন, সরকারের সমর্থকরা যদি এই সামরিক শাসনকে অভ্যুত্থান হিসেবে দেখেন, সেক্ষেত্রে তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানোরও সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে সর্বশেষ ২০০৬ সালেও থাই সেনাবাহিনী থেকে সামরিক আইন জারি করা হয়েছিল।