সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশ পরিচালিত অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘এবার অর্থ আত্মসাতে র্যাব সদস্য প্রত্যাহার’ শিরোনামে একটি খবর আপলোড করা হয়।
বিকেলেই সংবাদটি প্রত্যাহার করে ডিএমপির পোর্টালে বলা হয়, আজ বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালের তথ্যের ভিত্তিতে ডিএমপি নিউজ পোর্টালে ‘এবার অর্থ আত্মসাতে ১৮ র্যাব সদস্য প্রত্যাহার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি ডিএমপি নিউজ পোর্টালের সংবাদ প্রচার নীতিমালার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সন্ধ্যায় র্যাব সদর দফতর এক লিখিত বক্তব্যে জানায়, একটি সরকারি সংস্থা তথা একটি স্বনামধন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে অপর একটি বাহিনীর সদস্যদের জড়িয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার শুধু বাহিনীর সদস্যদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে না বরং বাহিনীতে কর্মরত সদস্যদের মনোবল ও কর্মস্পৃহাকে মারাক্তকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অনেক সময় র্যাব সদস্যদের প্রয়োজনে এক ইউনিট থেকে অন্য ইউনিটে সংযুক্ত বা বিযুক্ত করা হয়। র্যাব-৩ এর কিছু সংখ্যক সদস্যদের এই ধরনের একটি সংযুক্ত করাকে কেন্দ্র করে উদ্দেশমূলকভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে।
র্যাব সদর দফতরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তাদের র্যাব সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) মোখলেছুর রহমান জানান, ক্যাম্প থেকে র্যাব সদস্যদের বদলি করে র্যাব সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে। এটা রুটিন ওয়ার্ক। কেবল একটি ব্যাটালিয়ন নয়, বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন থেকেই এভাবে বদলি করা হয়।
অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের ডিজি বলেন, এধরনের ঘটনা ঘটলে কেবল বদলি নয়, বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হতো। এধরনের কিছু ঘটলে মিডিয়া উইংয়ের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।