প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ভালো, তবে তার সঙ্গে দায়িত্বশীলতা ও কর্তব্যবোধও থাকতে হবে। রোববার তথ্য মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের সময় সেখানকার কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্য একটি সম্প্রচার নীতিমালার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এটি প্রয়োজন। পৃথিবীর সব দেশেই এটি আছে। আমরা একটি খসড়াও তৈরি করেছি। দ্রুত সেটি করা একান্ত জরুরি।
“কারণ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ভালো। তবে এর সঙ্গে দায়িত্ববোধ ও কর্তব্যবোধও থাকা উচিত। এ ব্যাপারে সবাইকে নজর দিতে হবে।”
প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম থেকে মানুষ অনেক কিছু শেখে। শিশুরা এখন গণমাধ্যম থেকে যথেষ্ট বিনোদন পায়। তাই ইতিহাসের সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে। ইতিহাস ভালো করে না জানলে মানুষের চরিত্র নষ্ট হয়, বিকৃত চরিত্র হয়।
সামরিক হস্তক্ষেপে বারবার দেশের গণমাধ্যম বাধাগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার এদেশে গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। গণতন্ত্রকে বিকশিত করার স্বার্থেই তার সরকার সংসদ টিভি চালু করেছে। বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে রেডিও চ্যানেলের প্রভাবও আছে। অনেকে মনে করেছিলেন, রেডিও বোধহয় মরে গেছে।
এ সময় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় নানা বাধার কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, যে গাছে ফল ধরে সেখানেই বেশি ঢিল পড়ে। নিস্ফলা গাছে কোনো ফল হয় না, তাই সেখানে ঠিলও পড়ে না। আমরা কাজ করছি, তাই বাধার সন্মুখীন হচ্ছি। সেই বাধা ডিঙ্গিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।