সাও পাওলোর বিক্ষোভ ব্রাজিলের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ায় এমন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে যে, জার্মানি নিজেদের পুলিশ পাঠাচ্ছে সমর্থকদের বাঁচাতে৷ একেই নানা বিতর্ক, তার মধ্যে নতুন বিতর্ক তৈরি করেছেন স্পেনের চিকিত্সকরা৷ তারা দাবি করেছেন, ব্রাজিল হচ্ছে ডেঙ্গির আঁস্তাকুড়৷ একটি পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত দশ বছরে ব্রাজিলে ৭০ লক্ষ লোক ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন৷
বিশ্বে ডেঙ্গি প্রবণ দেশ হিসেবে ব্রাজিল এক নম্বরে৷ কাতালান ইনস্টিউট অন ক্লাইমেটের প্রধান রিচেল লো পরিষ্কার জানিয়েছেন, ‘বহু সময় ডেঙ্গি ওখানে মহামারীর আকারে দেখা দেয়৷’
বিদেশি পর্যটকদের এমনিতেই ব্রাজিল যাওয়ার আগে চিন্তার শেষ নেই৷ ব্রাজিলে নিরাপত্তা নিয়ে বহু দেশ আশঙ্কা প্রকাশ করছে৷ তবে পুলিশ পাঠালেও জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী টমাস দি মাইজিয়ার বলেছেন, ‘ব্রাজিলে যাওয়ার কোনও ঝুঁকি নেই৷ দাঙ্গা-হাঙ্গামা না করে শুধু ফুটবলের জন্য ব্রাজিলে গেলে, সমর্থকরা সেখানে উষ্ণ সংবর্ধনাই পাবেন৷’
ব্রাজিলে বিক্ষোভ, বিদ্রোহের কোনো বিরাম নেই৷ বিশ্বকাপ যত আসছে, তত বিভিন্ন শহরে তা ছড়িয়ে পড়ছে৷ বিক্ষোভকারীরা বলে চলেছেন, ‘বিশ্বকাপের সময় বিক্ষোভ আরও চরমে পৌঁছবে৷’ এর পাশাপাশি ব্রাজিলের মশা নিয়ে চিন্তায় সকলেই৷ এমন কোনও শহর নেই, যেখানে মশার উপদ্রুব নেই৷ প্রথমে গা-হাত, পা ব্যথা, তারপর জ্বর৷ কোনো সময় গায়ে হাত পা’তে ব্যথার জন্য হাসপাতালে পর্যন্ত ভর্তি হতে হয়৷ অনেক সময় মেরুদন্ডে প্রচন্ড ব্যথাও হয়৷ অথচ ডেঙ্গুর কোনো প্রতিষেধক নেই ব্রাজিলে৷