ম্যান সিটি, পিএসজিকে জরিমানা করলো ইউয়েফা

ম্যান সিটি, পিএসজিকে জরিমানা করলো ইউয়েফা

uefaআর্থিক বিষয়ে গড়মিলের কারণে ম্যানচেস্টার সিটি ও প্যারিস সেইন্ট জার্মেইকে ৬০ মিলিয়ন ইউরো (৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ৪৯ মিলিয়ন পাউন্ড) জরিমানা করেছে ইউরোপীয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ইউয়েফা। একইসাথে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগের স্কোয়াডে উভয় দলের জন্য ২১ জন খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সীমা আরোপা করা হয়েছে।

আবুধাবী ভিত্তিক ধনকুবের শেখ মানসুন বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান এর ক্লাব হিসেবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের সদ্য চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি এবারের মৌসুমে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে। একইসাথে ফ্রেঞ্চ লীগের চ্যাম্পিয়ন পিএসজিও কাতার স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্টের অধীনে ২০১২ সাল থেকে খেলোয়াড় ট্রান্সফার বাবদ অনেক অর্থ খরচ করেছে। কিন্তু উভয় ক্লাবকে এখন বিশাল পরিমাণ অথের্র জরিমানা গুনতে হচ্ছে। ইউয়েফা এবং ক্লাব ফিনান্সিয়াল কন্ট্রোল বডি (সিএফসিবি) এর মধ্যে ক্লাব পরিচালনা এবং আর্থিক বিষয় পরিমাপের যে সমঝোতা হয়েচিল সেটা পূর্ণ করতে না পারায় ক্লাব দু’টিকে এই জরিমানা দিতে হচ্ছে।

এই দুটি ক্লাব ছাড়াও অন্য যে ক্লাবগুলো আর্থিক ফেয়ারপ্লে আইন মানতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে টার্কিশ ট্রায়ো বুরাসপোর, গালাতাসারে, ট্রাবজোনসপোর, রাশিয়ান ক্লাব জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গ, আনঝি মাখাচাখালা, রুবিন কাজান এবং বুলগেরিয়ার লেভস্কি সোফিয়ার নাম নিশ্চিত করেছে ইউয়েফা। যদিও বিষয়টি নিয়ে সিটি এবং পিএসজি ইউয়েফার সঙ্গে বেশ যুদ্ধ করেছে। অতীতের আইনানুযায়ী ২০১০ সালের আগে খেলোয়াড় ক্রয়ের ক্ষেত্রে যে আইন ছিল তার অধীনেই ক্লাব দু’টি সংশ্লিষ্ট কার্যাদি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছেন। তারা আরো জানিয়েছে নতুন খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে তারা ইউয়েফার বেঁধে দেয়া ৬০ মিলিয়ন ইউরোর মধ্যে সার্বিক ব্যয় করেছে। যদিও পরবর্তীতে ক্লাব দুটোর পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে তারা ইউয়েফা কর্তৃক আদেশকৃত জরিমানার বিষয়টি মেনে নিয়েছে। একই সঙ্গে ২০১৩-১৪ মৌসুমে যেখানে চ্যাম্পিয়নস লীগের জন্য ২৩জন খেলোয়াড় রেজিস্ট্রার করা যেত এবং পুরো প্রতিযোগিতায় ২১জনকে ব্যবহার করা যেত সেখানে ২০১৪-১৫ মৌসুমের জন্য তারা ২১ জনকেই রেজিস্ট্রার করতে পারবে।

তবে পিএসজি সভাপতি নাসির আল-খেলাফি বলেছেন, আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম সেরা একটি দল গঠন করা। একই সঙ্গে ইউরোপীয়ান ফুটবলে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্‌দ্িবতাপূর্ণ একটি ক্লাব হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলা। কিন্তু এমন একটি ক্লাবকে এভাবে পরিমাপ করা কখনই মেনে নেয়া যায়। আমরা দল গঠনে অর্থ ব্যয় করেই যাবো। একইসাথে স্টেডিয়াম এবং ট্রেনিং অবকাঠামো গঠনেও সচেষ্ট আছি।

এ সম্পর্কে ইউয়েফা জেনারেল সেক্রেটারী গিয়ানি ইনফানটিনো জানিয়েছেন তুরিনে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় বলা হয়েছে আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে আইন ভঙ্গের বিষয়ে জরিমানা করাটা খুবই স্বাভাবিক। পুরো প্রক্রিয়াটি বেশ স্বচ্ছ এবং যথাসময়েই এটা সম্পন্ন হবে। শুধুমাত্র কিছু আইনি কার্যবিধির জন্য প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে কিছুটা সময় লেগেছে।

খেলাধূলা