মেঘনায় লঞ্চ ডুবি : ৫৬ লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ শতাধিক

মেঘনায় লঞ্চ ডুবি : ৫৬ লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ শতাধিক

mv_miraj4কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে লঞ্চ ডুবির ঘটনায় ৫৬ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আর এরই মধ্য দিয়ে শনিবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে উদ্ধার কাজের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটি কর্তৃপক্ষ। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছে শতাধিক যাত্রী।

দুর্ঘটনা কবলিত এমভি মিরাজ-৪ লঞ্চটি পানির তল থেকে উদ্ধার করে তীরে আনা হয়েছে।

এর আগে অবশ্য শনিবার সকাল ৮টা ৩৩ মিনিটে লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার প্রায় ৩৪ ঘন্টার মাথায় লঞ্চটি তীরে আনার পরপর উদ্ধার অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করেছিলেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার। তখন পর্যন্ত ৪০ জনের লাশ উদ্ধার হয়। এরপর এলাকাবাসী আরও উদ্ধার তৎপরতা চালানোর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। এলাকাবাসীর দাবির মুখে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আবারো উদ্ধার কাজ শুরু হয়।

এরপর দুপুর ২টা পর্যন্ত আরো ১৬ লাশ উদ্ধার করা হয়। এতে মোট ৫৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হলো। বিকাল পৌনে ৪টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধার কাজের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। অবশ্য এখনো প্রায় শতাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে।

এদিকে উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হলেও নিখোঁজদের স্বজনেরা নদীর তীরে এখনো খুঁজে ফিরছেন তাদের প্রিয়জনদের।

তারা জানায়, উদ্ধার অভিযান আরো ব্যাপক এরিয়া নিয়ে চালানো হলে হয়তো তারা স্বজনদের অন্তত লাশ পেত। এতেই তারা অন্তত শান্ত্বনা পেত।

এর আগে ড. শামসুদ্দোহা সাংবাদিকদের বলেন, ৩৪ ঘণ্টা পরে লঞ্চটিকে উদ্ধার করতে পেরেছি। আরও আগে উদ্ধার করা যেতো। লঞ্চটি একটি গর্তে পড়ে যাওয়ায় এতো দেরি হয়েছে। এরমধ্যে দুই দফা লিভ স্পিপ করে বেরিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, লঞ্চটি উল্টে যাওয়ায় এটাকে উদ্ধার আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। সবার সহযোগিতায় সেটা করতে পেরেছি।

শুক্রবার বিকালে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায় এমভি-মিরাজ-৪। লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাট থেকে শরীয়তপুরের সুরেশ্বর যাচ্ছিল। লঞ্চটিতে প্রায় তিনশ যাত্রী ছিল বলে ধারণা করা হয়।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর