শেখ হাসিনার ৩৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস কাল

শেখ হাসিনার ৩৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস কাল

hasina124শনিবার ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৮১ সালের এই দিনে তিনি দীর্ঘ নির্বাসন শেষে বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন।

এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কোলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। এ সময় তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে থাকায় ঘাতকদের হাত থেকে রেহাই পান।

পরবর্তী সময়ে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত প্রায় ১৫ লাখ মানুষের হৃদয় ছোঁয়া ভালোবাসার জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলার মানুষের পাশে থেকে মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেয়ার জন্য আমি দেশে এসেছি। আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।’

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের মূল্যায়ন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন বলেন, রাজনীতিবিদ হিসেবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দেশে স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করে।

তিনি বলেন, মাত্র ৩৫ বছর বয়সের একজন মা দুই সন্তানকে বিদেশ-বিভূইয়ে ফেলে রেখে শুধুমাত্র মাতৃভূমির ডাকে স্বদেশে চলে আসেন। এই চলে আসা কোনো লোভের বশবর্তী হয়ে নয়- কিংবা কোন রাজনৈতিক দলের নেতা হওয়ার জন্য ছিলো না।

তিনি এসেছিলেন সেই মহামানব, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যাকে হত্যার ভেতর দিয়ে সামরিক গোষ্ঠী বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসহ হাজার বছরের সকল অর্জন ভূলুন্ঠিত করে সংবিধান কর্তন করে বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানি ভাবধারায় সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা করেছিল তা প্রতিহত করার জন্য।

নূহ-উল আলম লেনিন বলেন, সে সময়ের নেতৃত্বশূন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে শুধু প্রাণসঞ্চারের জন্য নয়- আমাদের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করার জন্য তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন।

তিনি বলেন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর শেখ হাসিনা গত ৩৩ বছর ধরে বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। একই সাথে দারিদ্র্যপীড়িত পশ্চাৎপদ বুভুক্ষু পরনির্ভরশীল বাংলাদেশকে একটি আত্মনির্ভরশীল আধুনিক এবং মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন। তার নেতৃত্বে ইতিমধ্যে দারিদ্র্য বিমোচনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা তৃতীয় বিশ্বে অনন্য নজির স্থাপন করেছে।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এ উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে একটি ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। সূত্র: বাসস

রাজনীতি শীর্ষ খবর