ক্রিস গেইলের কোর্টেই বল ঠেলে দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (ডব্লুআইসিবি)। বোর্ডের প্রধান নির্বাহী আর্নেস্ট হিলাইরে গত ৩০ জানুয়ারি এক ই-মেইলে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন গেইলকেই। রাস্তাও বাতলে দিয়েছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ফিরতে হলে নিঃশর্ত ছাড়পত্র চাওয়া যাবে না। অর্থাৎ, নিজের ইচ্ছামতো খেলা যাবে না টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে। প্রাধান্য দিতে হবে জাতীয় দলকেই।
গত বিশ্বকাপের পর থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আর দেখা যায়নি গেইলকে। ফ্রিল্যান্স ক্রিকেটার হিসেবে ক্রিকেট বিশ্ব জুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে খেলার জন্য সই করেননি বোর্ডের সর্বশেষ কেন্দ্রীয় চুক্তিতে। তবে চুক্তিবদ্ধ না হলেও বিদেশের লিগগুলোতে খেলতে বোর্ডের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। সেই ছাড়পত্র হয় আবার দুই রকম। শর্তযুক্ত ছাড়পত্র, যেখানে জাতীয় দলের ডাক পড়লেই ফিরে আসতে হবে। আর নিঃশর্ত ছাড়পত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
হিলাইরে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, নিঃশর্ত ছাড়পত্র চাইলে গেইলকে জাতীয় দলের জন্য বিবেচনা করা হবে না, ‘আপনার যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে খেলার ইচ্ছা থাকে, তাহলে আর সব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের মতোই শর্তযুক্ত ছাড়পত্র নিতে হবে। আর খেলার ইচ্ছা না থাকলে নিঃশর্ত ছাড়পত্র দিতে কোনো সমস্যা নেই। এখন প্রয়োজন স্রেফ আপনার কাছ থেকে পরিষ্কার একটি বিবৃতি, বেছে নিতে হবে যেকোনো একটি।’
গেইলকে নিয়ে জ্যামাইকান প্রধানমন্ত্রীর করা মন্তব্যেও দুঃখ প্রকাশ করেছে বোর্ড। ২০ জানুয়ারি জ্যামাইকান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্পোর্ট অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পোর্শিয়া-সিম্পসন মিলার বলেছিলেন, গেইলের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। বোর্ডের দাবি, গেইলের ঘটনা পুরোপুরি না জেনেই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ওয়েবসাইট।