মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় উদ্ধারকৃত লাশের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭। এখনো দেড় শতাধিক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধারকাজে ধীর গতির অভিযোগ এনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনেরা।
বৃহস্পতিবার তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে এমভি মিরাজ-৪ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটি ডুবে যায়। জানা যায়, ৫০ জনের মতো যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান মো. শাসছুদ্দোহা খন্দকার বলেন, ৫০ জনের মতো যাত্রী নানাভাবে রক্ষা পেয়েছেন।
লঞ্চটি বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে ঢাকার সদরঘাট থেকে শরীয়তপুরের সুরেশ্বরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পথে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে গজারিয়ার ইমামপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর কালিপুরা এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায় লঞ্চটি।
বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে ডুবুরি দল ৫০ মিটার পানির নিচে লঞ্চটি শনাক্ত করে।
মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সকাল ১১টা পর্যন্ত ২৭টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। স্বজনদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহতদের পরিবারকে জেলা প্রশাসন থেকে ২০ হাজার ও সরকার থেকে আরও ৫০ হাজারসহ মোট ৭০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।
উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ও দুর্বার ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে। শুক্রবার সকাল নয়টা পর্যন্ত লঞ্চটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
লাশ উদ্ধারেও তৎপরতা চলছে।
বিআইডব্লিউটিএ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৫ জন ডুবুরি উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় লোকজনও উদ্ধারকাজে অংশ নিচ্ছেন।
এদিকে দুর্ঘটনার শিকার যাত্রীদের স্বজনরা বৃহস্পতিবার রাতভর মেঘনার তীরে অবস্থান করেন। শুক্রবার সকালে আরও অনেকের স্বজন সেখানে জড়ো হয়েছেন। তাদের আহাজারিতে পুরো এলাকার পরিবেশ শোকে ভারী হয়ে উঠেছে।