মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এলাকার মেঘনায় অন্তত ৩০০ যাত্রী নিয়ে এম ভি মিরাজ-৪ নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে গেছে। বিকাল পৌনে ৩টার দিকে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চটি ঢাকা থেকে শরিয়তপুরের নড়িয়ার সুরেশ্বর ঘাটে যাচ্ছিলো।
এ ঘটনায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দু’জনের নাম জানা গেছে। জামাল শিকদার (৫৫), ছেলে আবিদ শিকদার ও টুম্পা বেগম (২৬)। তাদের বাড়ি শরীয়তপুরের সুরেশ্বর। বাকিদের নাম ঠিকানা জানা যায়নি।
ঘটনার পরপরই ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধারে নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ঘটনাস্থলে রওয়ানা করেছে ।
গজারিয়া থানার ওসি (তদন্ত) সিদ্দিকুর রহমান জানান, উদ্ধারকৃত লাশের মধ্যে ১টি শিশু, ৩ জন মহিলা ও ৩ জন পুরুষ রয়েছে। লাশগুলো দৌলতপুরের মেঘনা নদী পাড়ে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জে জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান বাদল ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন।
এর আগে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ জানান, লঞ্চ ডুবির ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর পর ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি জানায়, লঞ্চটিতে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ জন যাত্রী ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, লঞ্চ ডুবির ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে শরীয়তপুরের শুরেশ্বর ঘাটে ভীড় জমিয়েছে স্থানীয় হাজারো জনতা। স্থানীয় এক সাংবাদিক জানান, ঘটনা শোনার পরপরই স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরাসহ স্থানীয় মানুষ পাড়ে ভিড় জমিয়েছে। অনেকেই তার স্বজনদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন।