আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ মানিকগঞ্জের শিবালয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
১৫ মে থেকে শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম। তিন ধাপে শেষ করা হবে হালনাগাদের কাজ। এ সময় নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি মৃত ভোটারের নাম কর্তন ও স্থানান্তরের কার্যক্রম চলবে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, প্রতি বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার বিধান রয়েছে। এবার মানিকগঞ্জের শিবালয় থেকে সিইসি হালনাগাদ কার্যকমের উদ্বোধন করবেন। তথ্য সংগ্রহের কাজ দেখার জন্য তথ্য সংগ্রহকারীদের সঙ্গে কয়েকটি বাড়ি ঘুরে দেখবেন সিইসি।
২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে বা তার বেশি হবে তারাই ভোটার তালিকার অন্তর্ভুক্ত হবে। ১৮ বছরের কম বয়সে বা একের অধিক ঠিকানায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভোটার হওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধের শাস্তি ছয় মাস কারাদণ্ড বা অনধিক দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড। প্রতিটি এলাকায় মাঠ পর্য়ায়ের তথ্য সংগ্রহকারীরা এক মাস সময় পাবেন। ওই সব তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর নির্দিষ্ট স্থানে ভোটারদের ছবি তোলা হবে। ছবি তোলার জন্য ১৫ দিন সময় দেয়া হবে। আগামী মধ্য নভেম্বরে ভোটার তালিকার খসড়া তৈরি করা হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কার্যক্রম শেষ করা হবে।
২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা তৈরির কাজ প্রথম শুরু হয়। বর্তমান তালিকা অনুযায়ী, দেশে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৯ কোটি ২১ লাখের মতো।