কিছু লোকের অতি উৎসাহী তৎপরতা নারায়ণগঞ্জের ৭ হত্যাকান্ডের তদন্ত কাজে বাধা সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, কথায় কথায় রিট, যে কাজ আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী ও নির্বাহী বিভাগের, সেখানে সব কাজ জুডিসিয়ালি হলে আমাদের কী করণীয় থাকে? আমরা তো অপেক্ষা করে থাকিনি। কিন্তু অতি উৎসাহিদের তৎপরতা একদিকে যারা অপরাধী তাদের সজাগ করে দিচ্ছে। অন্য দিকে যারা কাজ করছে, তাদের কাজের বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।
বুধবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কে কার আত্মীয় এটা আমরা দেখিনা। অন্যায় যে করবে তার বিচার হবেই।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, বিভিন্ন অপরাধের সাথে যারা জড়িত তারা যাতে আওয়ামী লীগে ভিড়তে না পারে সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। পার্টিতে এসব লোকের দরকার নেই। আওয়ামী লীগ এমনিতেই সুপ্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল। হাবি-জাবি নেবার দরকার নেই।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, এডভোকেট চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ ভেসে ওঠে। এরপর নিহতদের স্বজনরা হত্যাকান্ডের সাথে র্যাবের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলে। পরবর্তীতে অভিযুক্ত তিন র্যাব কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়।
তিন কর্মকর্তা হলেন- র্যাব-১১ এর সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মাহমুদ, মেজর আরিফ হোসেন এবং নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এমএম রানা।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত রবিবার এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।