যেন ব্যাংকে জমিয়ে রেখেছিলেন, সুদসহ উসুল করতে চান। গত তিন বছরে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরিবিহীন ৩৭টি ইনিংস কাটানোর পর টানা দুটো সেঞ্চুরি তুলে নিলেন কেভিন পিটারসেন। কাল দুবাইয়ে তাঁর সেঞ্চুরিতেই পাকিস্তানকে ২০০০ সালের পর মাত্র দ্বিতীয়বার ধবলধোলাইয়ের লজ্জায় ফেলল ইংল্যান্ড। শেষ ম্যাচটা ৪ উইকেটে জিতে যেন একরকম প্রতিশোধ নিল টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার।
পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে ‘স্বাগতিক’রা ২৩৭ রানে গুটিয়ে যাওয়ায়। টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ১ রানেই প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। শফিক-আজহারের ১১১ রানের জুটি সেই ধাক্কা ভালোই সামলে উঠেছিল। ২৩তম ওভারে ব্রেসনান শফিককে বোল্ড করে দেওয়ার পরই বিপুল বিক্রমে ফিরে এল ইংল্যান্ড। ১ উইকেটে ১১২ তোলার পরও পাকিস্তান যে মামুলি সংগ্রহে শেষ হলো, তার পেছনে একের পর এক উইকেট পতন। ৩৫ রানে শেষ ৬ উইকেট হারানোর মধ্যে বলার মতো জুটি শুধু পঞ্চম উইকেটে মালিক-মিসবাহর ৫৮।
দ্বিপক্ষীয় সিরিজে এর আগে মাত্র নয়বার হোয়াইটওয়াশ হয়েছে পাকিস্তান, ইংল্যান্ডের কাছেই তিনবার। চতুর্থবার ইংলিশদের কাছে এই লজ্জা না পাওয়ার প্রতিজ্ঞায় কাল ৬৮ রানে ৪ উইকেট তুলেও নিয়েছিল। কিন্তু পিটারসেন-কিসওয়েটারের ১০৯ রানের জুটিতে ইংল্যান্ড ঘুরে দাঁড়ায়। ৪৩ রান করে কিসওয়েটার ফিরে গেলেও বাধার দেয়াল তুলে দাঁড়ান কেপি।
১৩০ রান করা পিটারসেন ৪৯তম ওভারের শেষ বলে আউট হলেন যখন, ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংসটাই শুধু নয়, নিশ্চিত হয়ে গেছে ইংল্যান্ডের জয়ও। দরকার যে ছিল মাত্র ২। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলেই সেই আনুষ্ঠানিকতা সেরেছে কুকের দল।
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ২৩৭ (আজহার ৫৮, শফিক ৬৫, মিসবাহ ৪৬; ডার্নব্যাখ ৪/৪৫, ব্রিগস ২/৩৯, ফিন ২/৪২, ব্রেসনান ১/৪৭)। ইংল্যান্ড: ৪৯.২ ওভারে ২৪১/৬ (পিটারসেন ১৩০, কিসওয়েটার ৪৩; আজমল ৩/৬২, রেহমান ১/৩১, জুনায়েদ ১/৫৩)।
ফল: ইংল্যান্ড ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: পিটারসেন।