পরকিয়া প্রেমের টানে স্কুল পড়ুয়া শ্যালিকাকে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে তার দুলাভাই। এ ঘটনা ঘটেছে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে। এ ঘটনায় নাবালিকা মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে মেয়ের জামাইসহ ৫ জনকে আসামি করে শ্রীনগর থানায় মামলা করেছেন তার শ্বশুর।
জানা যায়, মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বাশকান্দি গ্রামের আবুল কালাম আজাদের বড় মেয়ে শারমিনের (২২) সাথে ২ বছর আগে পারিবারিকভাবে শরিয়তপুর জেলার আনোয়ার ফকিরের ছেলে লিটনের (২৬) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা শ্রীনগর সদর এলাকার ধাইসার টেম্পু ষ্ট্যান্ড সংলগ্ন আজিজ মিয়ার বিল্ডিংয়ে ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করত। প্রায় ৬ মাস পূর্বে তাদের সংসারে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হলে তাকে দেখাশুনা করার জন্য শারমিনের ছোটবোন মেহেরুন নেছাকে তাদের বাসায় এনে রাখা হয়। এর সুবাদে মেহেরুন নেছার সাথে দুলাভাই লিটনের অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে।
বিষয়টি জানাজানি হলে ৩ মাস পূর্বে লিটন বাসা ছেড়ে লৌহজং উপজেলার মাওয়া এলাকায় গিয়ে নতুন বাসা নেয় এবং মেহেরুন নেছাকে রাঢ়িখাল এলাকায় তার নানা বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এর পরও তাদের মধ্যে গোপন প্রণয় চলতে থাকে। গত ১০ মে প্রথম সাময়িক পরীক্ষার শেষ দিন লিটন মাইক্রোবাসে করে রাঢ়িখাল জেসিবোস ইনষ্টিটিউশনের গেট থেকে মেহেরুন নেছাকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
অপর একটি সূত্র জানায়, লিটন একমাস পূর্বে মেহেরুন নেছাকে বিয়ে করে। মেহেরুন নেছা ১০ মে লিটনের সাথে চলে যাওয়ার পর তার পরিবারকে বিষয়টি ফোনে জানিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় মেহেরুন নেছার বাবা আবুল কালাম আজাদ তার মেয়ের জামাই লিটন ও লিটনের তিন ভাই এবং বোনের জামাইকে আসামি করে শ্রীনগর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
আবুল কালাম আজাদ মামলার বিবরণে উল্লেখ করেন তার ছোট মেয়ে মেহেরুন নেছা রাঢ়িখাল এলাকায় তার নানা বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করতো। গত ১০ মে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মেহেরুন নেছা পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফেরার পথে লিটন তার সঙ্গীদের নিয়ে তাকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাসেল জানান, মেহেরুন নেছার সাথে লিটনের অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। তবে অপহরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।