বিশ্বকাপ চলাকালে গুন্ডাদের ব্রাজিল প্রবেশ ঠেকাতে ব্যবপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আয়োজক দেশটি। সোমবার এসব গুন্ডাদের বিশেষ করে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের সেদেশে অনুপ্রবেশের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে তারা।
‘বাররা ব্রাভাস’ নামের একটি আর্জেন্টাইন উগ্র ফুটবল সমর্থক গোষ্ঠীর সদস্যরা সীমান্ত অতিক্রম করে ব্রাজিলে অনুপ্রবেশ করছে বলে সংবাদ মাধ্যমে রিপোর্ট পরিবেশিত হবার পর এর জবাবে ব্রাজিলের ক্রীড়ামন্ত্রী আলডো রেবেলো বলেন,‘ ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে আমরা বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী কোন দর্শককে চাইনা। এ বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক পুলিশের সহায়তা নিয়ে টুর্ণামেন্টকে গুন্ডামির ঝুঁকি থেকে যতটুকু সম্ভব মুক্ত রাখার চেষ্টা করছি।’
ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ‘এমনিতেই আমরা আমাদের সামাজিক সমস্যায় জর্জরিত। তাই ব্রাজিলে আমরা ঝগড়াটে কোনো আর্জেন্টাইন সমর্থককে চাই না। যারা এখানে বিতর্কের সৃষ্টি করবে।’
টুর্নামেন্ট উপলক্ষে ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় মেঠানো বিষয়ে অভ্যন্তরীণ সমালোচনার জবাবে রেবেলো বলেন, ‘এটি একটি দুর্বল তথ্য।’
জনগণের টাকায় হাসপাতাল, শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন না ঘটিয়ে বিপুল অর্থ ক্রীড়াঙ্গনের জন্য বয় করায় ক্ষুব্ধ অনেক ব্রাজিলবাসী। এজন্য তারা বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন ও করছে। একাধিকবার তারা সহিংসতার ঘটনাও ঘটিয়েছে। ভবিষ্যতেও এমন সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বকাপ আয়োজন সহ গোটা ক্রীড়ামন্ত্রনালয়ের বাজেট স্বাস্থ্য ও শিা বাজেটের মাত্র এক শতাংশ। এটির সঙ্গে জনগণ প্রতিবছর কি পরিমাণ কর দিচ্ছে তার তুলনা করা যাবে না।
বিশ্বকাপের ভেন্যু নির্মাণ কাজে স্লথ গতি এবং কিছু কিছু ভেন্যু এখনো পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত করতে না পারা প্রসঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ‘শুধুমাত্র সাওপাওলোতে বিশ্বকাপের খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তাই সংস্কারও সাওপাওলোতে হবে এমন কোনো কথা নয়। এ কাজের জন্য ব্রাজিলের দুই তৃতীয়াংশ এলাকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে কিছু কিছু অবকাঠামো নির্মাণের কাজ নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন হয়নি। অথচ টুর্নামেন্ট আয়োজনের সময় ঘনিয়ে আসছে। তবে ফুটবল টুর্নামেন্ট হোক বা না হোক এই কাজগুলো এমনিতেই করতে হতো। সেটি টুর্নামেন্ট শুরু হবার আগে না হলেও।’