ভোটার হওয়ার জন্য এবার অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ আসছে। শুধু তাই নয় অনলাইনে ভোটাররা জাতীয় পরিচয়পত্রটি (স্মার্ট কার্ড) নবায়ন করতেও পারবেন। ২০১৫ সালের শেষের দিকে অথবা ২০১৬ সালের শুরুতে এ সুবিধা চালু করার পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বর্তমানে পাসপোর্টসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদনের সুযোগ রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইসি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইতিমধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন বিধিমালা-২০১৪ এর খসড়া তৈরি করেছে ইসি। এই খসড়াতে অনলাইনে নিবন্ধন ও নবায়ন সম্পর্কিত বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইন শাখার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইন শাখার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, গত বুধবার নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক ওই খসড়া বিধিমালাটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার বৃহস্পতিবার সশরীরে আইন মন্ত্রণালয়ের গিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন।
ইসি সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের পাঠানো খসড়া বিধিমালাটি কিছু সংশোধনীর জন্য আইন মন্ত্রণালয় কমিশনে ফেরত পাঠিয়েছে। বিষয়টি পর্যালোচনা করে ইসি খসড়া বিধিমালাটি আবার আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।
সূত্র জানায়, অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া চালু করার জন্য নির্বাচন কমিশনের বেশি কিছু প্রস্তুতির দরকার আছে। এ কারণে একটু সময় লাগবে।
খসড়া বিধিমালার ৪ নম্বর বিধির (১) উপ-বিধিতে বলা হয়েছে, ভোটার নিবন্ধনের জন্য কমিশন বা স্থানীয় কার্যালয়ে সরাসরি অথবা কমিশনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমের আবেদন করা যাবে। অনলাইনে আবেদনকারীকে তার মোবাইল নম্বর বা ই-মেইল ঠিকানায় অথবা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তার প্রাপ্য অংশটি (অংশ-১) পাঠানো হবে। আবেদনকারীর কোনো অংশে ত্রুটি বা অসম্পূর্ণতা থাকলে তা সংশোধনের জন্য কমিশন থেকে আবারও আবেদনকারীর কাছে আবেদনপত্রটি পাঠানো হবে।
অপরদিকে ১০ বছর মেয়াদি জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) প্রথমবার ফ্রি দেয়া হবে। তবে প্রথম নবায়নে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। দুইটি ক্যাটাগরিতে নবায়নের সুযোগ রয়েছে: একটি সাধারণ, ২৫০ টাকা; অন্যটি জরুরি, ৫০০ টাকা।
কার্ড হারিয়ে প্রথমবার আবেদন করলে সাধারণ ৫০০ টাকা এবং জরুরি ভিত্তিতে এক হাজার টাকা ফি দিতে হবে। দ্বিতীয়বার আবেদন করলে সাধারণের জন্য এক হাজার টাকা এবং জরুরির জন্য দুই হাজার টাকা ফি দিতে হবে। আর তৃতীয়বারের জন্য সাধারণের ফি দুই হাজার এবং জরুরির ৪ হাজার টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লিখিত ফি সচিব, নির্বাচন কমিশনের অনুকূলে পে অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে অথবা কমিশন কর্তৃক নির্দিষ্ট নম্বরে মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে।