চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের কার্যালয়ে আকশ্মিক অভিযান চালিয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগর আমির সাবেক এমপি মাওলানা শামসুল ইসলাম, মহানগর সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য নজরুল ইসলাম, নগর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ, নগর প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহসহ ২১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বৃহত্তর চট্টগ্রামের সর্বত্র থানায় থানায় বিক্ষোভ ও বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের কর্মসূচী ঘোষনা করেছে জামায়াত।
প্রত্যদর্শীরা জানায়, সোমবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে দেওয়ান বাজার মহানগর জামায়াত কার্যালয় সংলগ্ন বাংলাদেশ ইসলামিক একাডেমি (বিআইএ) জামে মসজিদে নামাজ আদায়ের পর পরই নগর, উত্তর দক্ষিণ জেলা জামায়াত কার্যালয় ঘেরাও করে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। পরে সেখান থেকে একে একে জামায়াতের নেতৃবৃন্দকে আটক করে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। আটককৃতদের মধ্যে কয়েকজন মুসল্লি এবং জামায়াত কার্যালয়ে চাকুরীরত কর্মচারীও রয়েছেন বলে জানা গেছে। আটককৃত জামায়াত নেতৃবৃন্দকে নগরীর কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ হতে দাবি করা হয়েছে, আটক জামায়াত নেতা শামসুল ইসলাম ও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তবে জামায়াতের একটি সুত্র দাবি করেছে, মাওলানা শামসুল ইসলাম উচ্চ আদালত থেকে সব মামলায় জামিনে রয়েছেন। জামায়াত সুত্র জানিয়েছে, জামিনে থাকায় মহানগর জামায়াতের নেতৃবৃন্দ নিয়মিতই অফিস করেন। সেই ধারাবাহিকতায় আজ তারা অফিসে অবস্থান করছিলেন।