জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, “নূর হোসেন কাদের তৈরি তা সবাই জানে। তার ট্রাকস্ট্যান্ড থেকে যে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে এসব মাদক কি পুলিশের অজান্তে এসেছে? প্রশাসন এ বিষয় জানে।
এসময় তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “এতদিন হলো নূর হোসেন গ্রেফতার হলো না। সরকারের ছত্রছায়ায় গডফাদার সৃষ্টি হচ্ছে।”
সোমবার দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (রব) ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের জাতীয় পার্টিতে যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, আশির দশকে নূর হোসেন জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এরপরে ১৯৯২ সালে তৎকালীন বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিনের আশীর্বাদে সিদ্ধিরগঞ্জ ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিন বছর পরে ১৯৯৫ সালের এপ্রিলে আদমজীতে খালেদা জিয়ার জনসভায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন। শুরু করেন প্রকাশ্যে রাজনীতি। ১৯৯৮ সালে গিয়াসউদ্দিনের সঙ্গ ত্যাগ করে শামীম ওসমানের ছত্রছায়ায় চলে আসেন নূর হোসেন। গড়ে তোলেন নিজস্ব বাহিনী।
এরশাদ ছাত্রলীগ-যুবলীগের টেন্ডারবাজি সম্পর্কে বলেন, “রংপুরের এসপি অফিস থেকে টেন্ডার ছিনতাই করে এতো সাহস তারা কোথায় পায়। তারা জানে গ্রেফতার হলে তাদের বিচার হবে না।”
জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ নিয়ে এরশাদ বলেন, “জাতীয় পার্টি উইল রিপ্লেস বিএনপি ভেরি সুন (খুব শিগগিরই জাতীয় পার্টি বিএনপির জায়গা দখল করবে)। বিএনপির কোনো রাজনীতি নেই। তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই।”
বি. চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে এরশাদ বলেন, “জিয়ার খুনি কে তা সবাই জানে। আমি কাউকে আঘাত করার জন্য কিছু বলিনি। আমি কারো নাম উল্লেখ করিনি। উনি কেন আমার বক্তব্য নিজের দিকে নিয়ে গেলেন আমি জানি না। আমাকে হেয় করার জন্যই মঞ্জুর হত্যা মামলা ঘটনার ১৪ বছর পর দায়ের করা হয়েছে।”
বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এরশাদ বলেন, “শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। শিক্ষার পরিধি বিস্তৃত হয়েছে কিন্তু মান বাড়েনি। আজ অনেক ছাত্র জিপিএ-৫ পাচ্ছে। কিন্তু তারা বাংলা ইংলিশ ভালো করে লিখতে পারে না। আমরা রাজনৈতিকভাবে দেখছি শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে।”
সভায় আরো বক্তব্য দেন মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সুনীল শুভ রায় প্রমুখ