বিশ্বব্যাংক অনুদানের ১৩৫ কোটি টাকা ফেরত নিচ্ছে

বিশ্বব্যাংক অনুদানের ১৩৫ কোটি টাকা ফেরত নিচ্ছে

world-bank-indexচুক্তিবদ্ধ আরো একটি প্রকল্প থেকে বড় ধরনের অর্থ ফেরত নিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। মেয়াদের মধ্যে অর্থ ব্যয় করতে না পারায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘পানি ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন’ প্রকল্প থেকে সংস্থাটি এক কোটি ৭০ লাখ ডলার বা ১৩৫ কোটি টাকার অনুদান ফেরত নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) চিঠি পাঠিয়ে এ অনুদানের অর্থ বাতিলের কথা জানায় সংস্থাটি।

সূত্র জানায়, বাতিল হওয়া অর্থ মূলত নেদারল্যান্ডসের অনুদান। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ওই প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংকের ট্রাস্ট ফান্ডে নেদারল্যান্ডস সরকার ২০০৭ সালে দুই কোটি ডলারের অনুদান দেয়। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে অর্থ ব্যয় করতে না পারায় নেদারল্যান্ডস সরকার অব্যয়িত অর্থ ফেরত নেয়ার পরামর্শ দেয় বিশ্বব্যাংককে। পরে অনুদান প্রত্যাহারে ইআরডির কাছে চিঠি দেয় বিশ্বব্যাংক।

এর আগে ক্রয়কাজে অনিয়মের অভিযোগে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্রজেক্ট থেকে দুই কোটি ৩৮ লাখ টাকা ফেরত নিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তারও আগে বেসরকারি খাতের উন্নয়নে ‘প্রাইভেট সেক্টর ডেভেলপমেন্ট সাপোর্ট প্রজেক্ট (পিএসডিএসপি)’ থেকে আট কোটি ডলার প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। ওই প্রকল্পেও বাস্তবায়ন সক্ষমতার অভাবে অর্থ ব্যয় না করতে পারার অভিযোগ আনা হয়েছিল।

জানা গেছে, ২০০৭ সালে পানি ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ১২ কোটি ৭০ লাখ ডলারের এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের ঋণ ছিল নয় কোটি চার লাখ ডলার। এতে নেদারল্যান্ডস সরকারের অনুদান ছিল দুই কোটি ডলার। ২০১৫ সালের মধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ থাকলেও নেদারল্যান্ডস সরকারের অর্থ ব্যয়ের সময় ছিল ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, বাস্তবায়ন অদক্ষতার কারণে শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রকল্পটিতে অর্থ ব্যয়ে গতি ছিল না। ফলে বৈদেশিক ঋণের ব্যবহারও আশানুরূপ হচ্ছিল না। প্রকল্পটি শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসের অনুদান থেকে মাত্র ২৭ লাখ ডলার ব্যয় হয়েছে। ফলে পাইপলাইনে আটকে রয়েছে এক কোটি ৭৩ লাখ ডলার। এরই মধ্যে প্রকল্পের আরও কিছু বিল কিংবা কাজ হয়ে থাকতে পারে- সে ধারণা থেকে আরও তিন লাখ ডলার বাদ রেখে এক কোটি ৭০ লাখ ডলার আর ছাড় করবে না দাতা সংস্থাটি।

জানতে চাইলে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান সমকালকে জানান, এটি অনেক আগের প্রকল্প। কেন বাস্তবায়নে ধীরগতি, তা তিনি ভালোভাবে জানেন না। শিগগির তিনি প্রকল্পটির সমস্যা চিহ্নিত করতে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বসবেন।

ইআরডির অতিরিক্ত সচিব আরাস্তু খান জানান, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে এ প্রেক্ষাপটে করণীয় সম্পর্কে একটি চিঠি দিয়েছে ইআরডি।

অর্থ বাণিজ্য শীর্ষ খবর