মহেশখালীতে হচ্ছে দেশের প্রথম এলএনজি আমদানি টার্মিনাল

মহেশখালীতে হচ্ছে দেশের প্রথম এলএনজি আমদানি টার্মিনাল

image_81180_0মহেশখালী দ্বীপে দেশের প্রথম এলএনজি আমদানি টার্মিনাল নির্মাণে বাংলাদেশ সরকার মে মাসের শেষ দিকে মার্কিন প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রা অয়েল এবং এক্সেলারেট এনার্জির সঙ্গে একটি প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষর করবে।

এই চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে পেট্রোবাংলার শীর্ষ কর্মকর্তারা এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং মার্কিন প্রতিনিধিরা গত ৮ মে ঢাকায় মিলিত হয়েছিলেন।

অংশীদারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রা অয়েল এবং এক্সেলারেট এনার্জিকে টার্মিনালটি নির্মাণের জন্য বাছাই করা হয়েছিল ২০১২ সালের আগস্ট মাসে। অনেক দেরিতে হলেও চুক্তি রূপায়নে গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটিকে চুক্তি সম্পাদনের তাগাদা দেয় পেট্রোবাংলা। কিন্তু চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের আগে প্রতিষ্ঠানটির দাবি ছিল রক্ষণাবেক্ষণ ফি-সংক্রান্ত একটি চুক্তি সম্পাদন করা।

পেট্রোবাংলার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এলএনজি আমদানিতে তিন বছর বিলম্ব হওয়ায় টার্মিনাল নির্মাণ শেষ হওয়া পর্যন্ত যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণের খরচ এই ফি’র অন্তর্ভুক্ত হবে।

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপন ও প্রকৌশল বিষয়ক খরচ, কাঁচামাল ক্রয় ও নির্মাণ চুক্তি ফি ইত্যাদির যাবতীয় খরচ হিসেবে যৌথ প্রতিষ্ঠানটি প্রতি এমসিএফের (এক হাজার ঘনফুট) জন্য ০.৩৯ মার্কিন ডলার করে মূল্য ধার্য করেছে। ২০ লাখ ডলারের একটি ঋণপত্র পরিশোধ এবং শর্ত অনুযায়ী সেবা প্রদান ও কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে কার্যসম্পাদনের আগে দুই কোটি ডলারের জামানত জমা করবে তারা।

আমদানি শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রস্তাবিত এলএনজি টার্মিনাল পরিচালনার জন্য রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ খরচ প্রদানের বিষয়ে রাজি হয়েছে পেট্রোবাংলা।

প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ৫০ লাখ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এবং জাহাজের করে ডিস্ট্রিবিউশন টার্মিনালের মাধ্যমে পণ্য পরিবহণের পর তরল প্রাকৃতিক গ্যাস বাষ্পীভবনের জন্য অন্তত পাঁচশ’ এমএমসিএফডি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন একটি ভাসমান এলএনজি আমদানি টার্মিনাল তৈরির পরিকল্পনা করছে পেট্রোবাংলা।

অর্থ বাণিজ্য শীর্ষ খবর