নারায়ণগঞ্জে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ নিহত সাতজনের বাসায় গিয়ে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
আজ রবিবার সকালে কৃষিমন্ত্রী সিদ্ধিরগঞ্জে ও সোনারগাঁওতে গিয়ে নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তিনি তাদেরকে সান্ত্বনা দেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘটনায় মর্মাহত। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।
এ সময় নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান মিয়া, পুলিশ সুপার খন্দকার মুহিদউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, আগামী ১৪ মে নারায়ণগঞ্জে নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে সিদ্ধিরগঞ্জে আসবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ উপলক্ষ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সিএসএফ সদস্যরা শনিবার নিহতদের বাসভবন পরিদর্শন করেছেন। এসময় সিএসএফ সদস্যরা খালেদা জিয়ার নিরাপত্তাসহ নিহতদের স্বজনদের সাথে কথা বলে সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করেন। তবে এসময় তারা গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কোন কথা বলেননি। তবে শনিবার বিকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহিদুল ইসলামের সাথে দেখা করে খোঁজ খবর নেন। এসময় নগর বিএপি সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আগামী ১৪ মে নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের পরিবারকে গণভবনে ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের শ্বশুর সাবেক চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম। তিনি জানান, ওই দিন গণভবনে যাওয়ার জন্য নিহতদের পরিবারকেই বলা হয়েছে। তারা এসে তাদের নিয়ে যাবে এমনটিই বলা হয়।
এ বিষয়ে নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা রঞ্জিত দেবনাথ জানান, প্রধানমন্ত্রী ডেকেছেন এমন কোন ম্যাসেজ পাইনি।
নিহত মনিরুজ্জামান স্বপনের ভাই মিজানুর রহমান রিপন বলেন, গণভবনে যাওয়ার বিষয়ে কেউ কিছু বলেনি।
উল্লেখ্য ১৪ মে শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সমাবেশ করার কথা থাকলেও সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি না পাওয়ায় সমাবেশ হচ্ছে না।