সপ্তাহজুড়ে দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে সূচক কমেছে ১১ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং সিএসইতে সূচক কমেছে ৮ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ০৮ শতাংশ।
ডিএসই ও সিএসই ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ১১ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং লেনদেন বেড়েছে ২১৯ কোটি ৬৬ লাখ ৯০ হাজার ৬৩৪ টাকা বা ১২ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৫ কার্যদিবসে মোট লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৯১৩ কোটি ৩২ লাখ ৪১ হাজার ২৯ টাকা। যা আগের সপ্তাহের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে ১২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৬৯৩ কোটি ৬৫ লাখ ৫০ হাজার ৩৯৫ টাকার শেয়ার।
গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে। গত সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৩৮২ কোটি ৬৬ লাখ ৪৮ হাজার ২০৬ টাকা। এর আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছিল ৪২৩ কোটি ৪১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৯৯ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ।
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসইএক্স সূচক ছিল চার হাজার ৫৬৬ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার সূচক কমে দাঁড়ায় চার হাজার ৫৫৫ দশমিক ১২ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক কমেছে ১১ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ২৬ শতাংশ।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে মোট ৫ কার্যদিবসে লেনদেন হওয়া ৩০৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৩টির কমেছে ১১৪টির, অপরিবর্তিত ২৪টির এবং বন্ধ ছিল তিনটি প্রতিষ্ঠানের লেনদেন। এর আগের সপ্তাহে হওয়া ৩০৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছিল ৪৫টির, কমেছে ২৪৮টির, অপরিবর্তিত ৮টির এবং তিনটি প্রতিষ্ঠানের লেনদেন বন্ধ ছিল।
অন্যদিকে সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধিতে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠান হলো-সলভো কেমিক্যাল (২০ দশমিক ৭৪ শতাংশ), ইনটেক অনলাইন(১৮ দশমিক ১১ শতাংশ), আনোয়ার গ্যালভানাইজিং (১৪ দশমিক ৮১ শতাংশ), নর্দান জেনারেল ইন্সুরেন্স (১৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ), কন্টিনেন্টাল ইন্সুরেন্স (১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ), ওরিয়ন ইনফিউশন (১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ), বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম (১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ), বিএফআইসি (১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ), মতিন স্পিনিং (১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ) এবং প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল (১৩ দশমিক ২৭ শতাংশ)।
ডিএসইতে দর হারানো শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠান হলো-ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক (২৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ), সিঙ্গার বিডি (১২ দশমিক ০২ শতাংশ), এনসিসি ব্যাংক (১০ দশমিক ২৪ শতাংশ), বাটা সু (৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ), সপ্তম আইসিবি মি. ফান্ড (৯ দশমিক ৮০ শতাংশ), ইবনে সিনা (৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ), রেকটি বেঞ্চকিজার (৮ দশমিক ০৮ শতাংশ), বার্জার পেইন্ট (৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ), কহিনুর কেমিক্যাল (৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ) এবং রেনেটা লিমিটেড (৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ)।
অপরদিকে গত সপ্তাহে সিএসই’র সাধারণ সূচক কমেছে ৮ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং লেনদেন বেড়েছে ১৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা। গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার সিএসইর সাধারণ সূচক ছিল আট হাজার ৭৭১ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক কমে দাঁড়ায় আট হাজার ৭৬৩ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক কমেছে ৮ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ০৮ শতাংশ।
গত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৩৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহের থেকে লেনদেন বেড়েছে ১৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এর আগে সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১২২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে গড় লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ২৫ কোটি টাকা।