শিপ ব্রেকিং ও শিপ রিসাইক্লিং শিল্পে শ্রমিক দুর্ঘটনারোধে কার্যকরি উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে কোয়ালিশান অফ লোকাল এনজিওস বাংলাদেশ ( সিএলএনবি)।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সিএলএনবি আয়োজিত জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাত শিল্পে দুর্ঘটনার প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, গত ৬ মে সীতাকুণ্ডে পেনিনসুলা শিপ ইয়ার্ডে বিস্ফোরনে গুরুতর আহত হয়েছে তিনজন শ্রমিক। তাদের চট্রগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার দরকার কিন্তু তাদের প্রাইভেট ক্লিনিকে নিম্নমানের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এই শিল্পে দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ৩ এপ্রিল চট্রগ্রাম আরোফিন এন্টারপ্রাইজ শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে দুর্ঘটনায় পাঁচজন শ্রমিক অকাল মৃত্যু বরণ করেন, আহত হন অনেকে। এছাড়া শিপ ব্রেকিং বিধি ২০১১ আইনের পূর্বে প্রায় ৫০ জন ও পরে ৪৫ জন শ্রমিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে দুই হাজার শ্রমিক।
বক্তারা বলেন, মাত্র দেড় হাজার টাকায় তিন থেকে পাঁচ দিনের একটি প্রশিক্ষণে দুর্ঘটনায় মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। কিন্তু সরকারের নির্দেশ থাকার পরও মালিকদের অতিলোভে প্রশিক্ষণবিহীন শ্রমিকদের দিয়ে শিপ ব্রেকিং কার্যক্রম পরিচালনা করায় একের পর এক দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে।
মালিকরা অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে শ্রমিকদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করছে অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, শ্রমিক হত্যাকারী মালিকদের অনতিবিলম্বে চিহিৃত করে ফৌজদারী অপরাধে মামলা দায়ের করে তাদের বিচার করতে হবে।
মানবন্ধনে সিএলএনবির সভাপতি হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন উন্নয়নধারা ট্রাস্ট সদস্য সচিব আমিনূর রসুল, সাপ্তাহিক সমীক্ষনের সম্পাদক শাহজাহান কবির জহীর, মানবধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট শেখ মো. জাকির হোসেন, ভুমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবল সরকার, এলএনবির নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা, শ্রমিক নেতা সাহিদা সরকার, কামরুন নাহার প্রমূখ।