বরিশাল বিভাগে তেল জাতীয় শস্যের ভালো ফলন হয়েছে। এখানে রবি মৌসুমের সরিষা, সূর্যমূখী, তিসি ও সয়াবিন’র লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া চিনা বাদাম ও তিলেরও পর্যাপ্ত ফলন হয়েছে। এতে হাঁসি ফুটেছে এখানকার কৃষকদের মুখে।
আর সঠিক সময় মতো সার প্রয়োগ, কৃষক ও মাঠ কর্মীদের সচেষ্ট থাকার কারণেই বিভাগে তেল জাতীয় শস্যের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষি কর্মকর্তারা জানান। তারা জানান, পাশাপাশি রবি মৌসুমে আবহাওয়াও অনুকূলে ছিলো। এছাড়া নিয়মিত কৃষি বিভাগের পর্যবেক্ষণ অব্যাহত থাকায় ফলন ভাল হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিভাগের ৬ জেলায় সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৫ হাজার ৭৭ হেক্টর জমিতে, বিপরীতে আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৮৪ হেক্টর। এর মধ্যে বরিশালে ২৬শ’ ১০ হেক্টর, পিরোজপুরে ১শ’ ৮০ হেক্টর, ঝালকাঠীতে ৪শ’ ৫০ হেক্টর, পটুয়াখালীতে ৩শ’ ৬৫ হেক্টর, বরগুনায় ১শ’ ৪ হেক্টর ও ভোলায় ৩৩শ’ ৭৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে।
সূর্যমূখী আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৬শ’ ৪২ হেক্টর জমিতে, আবাদ হয়েছে ১৭শ’ ৫৮ হেক্টর জমিতে। সূর্যমূখী বরিশালে আবাদ হয়েছে ৭ হেক্টর, পিরোজপুরে ১ শ’ ৯৯ হেক্টর, ঝালকাঠীতে ২শ’ ৬৪ হেক্টর, পটুয়াখালীতে ৪ শ’ ৬৮ হেক্টর, বরগুনায় ৮ শ’ ১৫ হেক্টর। অনুরূপ তিসি’র লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩শ’ ৪৬ হেক্টর, বিপরীতে আবাদ হয়েছে ৩শ’ ৬৫ হেক্টর এবং সয়াবিনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৪ হাজার ৯শ’ ৮৮ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৭শ’ ৫৮ হেক্টর জমিতে। এছাড়াও চিনামাদাম আবাদ হয়েছে ২০ হাজার ৭শ’ ৪২ হেক্টর ও তিল আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ৬শ’ ৭৪ হেক্টর জমিতে।
বরিশালের সরিষা চাষি লতিফ মিয়া, কামাল আলী ও মুক্তার হোসেন জানান, তারা এবার ২৫ একর জমিতে সরিষার চাষ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় তারা আশাবাদী লাভবান হবেন। ইতোমধ্যে সরিষা বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন তারা। এছাড়া সূর্যমূখী, তিসি ও সয়াবিন চাষিরাও তাদের ফলন ভাল হয়েছে বলে জানান।
আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বাসস’কে জানান, বরিশাল বিভাগ তথা দক্ষিণাঞ্চলের তেল চাষিদের সময়মত সব ধরনের কৃষি উপকরণ ও সহায়তা দেয়া হয়েছে।