গত দশ মাসে হিলি স্থলবন্দরে রফতানি খাতে আয় হয়েছে ১৮ লাখ ৭১ হাজার ৭৭৯ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় ১৪ কোটি ৬৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকার সমান। চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে এই বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে বলে হিলি কাস্টমস সুত্রে জানা গেছে।
ভারতে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে পণ্য বোঝাই ট্রাক ভারতে প্রবেশের সময়-সীমা বাড়ানোসহ রাস্তাঘাট সম্প্রসারণ ও বন্দরের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো গেলে রফতানির পরিমাণ আরো বাড়বে বলে মনে করেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছেন, হিলি স্থলবন্দর মূলত আমদানি নির্ভর হলেও এ বন্দর দিয়ে কিছু পণ্য রফতানিও হয়ে থাকে। আগের তুলনায় এখানে দিনদিন বাড়ছে ভারতে পণ্য রফতানির পরিমাণ।
এ বন্দর দিয়ে যে পরিমাণ পণ্য রফতানি হয় তার বিপরীতে প্রায় ৭০ শতাংশ পণ্যই ভারত থেকে আমদানি হয়ে থাকে। বর্তমানে বন্দরটি দিয়ে চিটাগুড়, তুষের তেল বা রাইস ব্রান ওয়েল, ঝুট কাপর এবং প্লাস্টিকের ঝুড়ি ভারতে রফতানি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমস সহকারী কমিশনার শাকিল খন্দকার বলেন, বন্দরের রাস্তা-ঘাট সম্প্রসাণসহ বন্দরের অবকাঠামোর উন্নয়ন করা হলে এই বন্দরে রফতানির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।
বন্দরের রফতানিকারক শ্যামল কুমার দাস বলেন, পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে পণ্য বোঝাই ট্রাক ভারতে প্রবেশের যে সময় সীমা রয়েছে তা আরো বাড়ানো দরকার।
তিনি জানান, রাস্তা সম্প্রসারণ না হওয়ায় প্রায় যানজটের কবলে পড়তে হয় রফতানিকৃত পণ্য বোঝাই ট্রাক গুলোকে। ফলে ট্রাক প্রতি দিনে দুই হাজার টাকা বিলম্ব ফি দিতে হয়। এতে সময় ও খরচ বাড়ছে।
রফতানির ক্ষেত্রে পণ্য বোঝাই ট্রাক ভারতে প্রবেশের সময় সীমা বাড়ানো, রাস্তাঘাট সম্প্রসারণ ও বন্দরের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো গেলে এই বন্দর দিয়ে রফতানির পরিমাণ আরো বাড়বে বলে মনে করেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা।