তবে কি সত্যি মানুষ বানর ছিলো! আবার বানর হচ্ছে। বিবর্তন কি তবে উল্টো দিকে হাঁটা শুরু করেছে? প্রসঙ্গত ভারতের লক্ষ্ণৌয়ের কেজিএমইউ হাসপাতালে পাঁচ বছর বয়সী লেজযুক্ত এক শিশুর খবর প্রকাশ করে হিন্দি এক দৈনিক।
বাবা-মার শত চেষ্টাও যখন লেজটি শিশুর শরীর থেকে আলাদা করতে পারছিলেন না, তখন হাসপাতালে এসে ডাক্তারের দ্বারস্থ হন তারা। আর এতেই বিস্ময়কর ব্যাপারটি খবর হয় সংবাদপত্রে।
জানা যায়, লক্ষ্ণৌয়ের কেজিএমইউ হাসপাতালের ডাক্তাররা হতবাক হয়ে যায়, যখন তাদের হাসপাতালে এক পাঁচ বছরের ছেলে আসে, যার পিছনে লেজ রয়েছে। বসন্ত নামের সেই ছেলেটি গোন্দা জেলার বাসিন্দা। বসন্তের বাবা-মা তাদের সাধ্যের মধ্যে সবধরণের চেষ্টা করেছে লেজিটা শরীর থেকে ফেলে দিতে। কিন্তু কিছুই লাভ হয়নি। অবশেষে তারা কেজিএমইউ হাসপাতালের দ্বারস্থ হয়। এমআরআই স্ক্যানের মাধ্যমে ধরা পড়ে শিঁরদাড়ার হাড়ে একটি সমস্যার জন্য অনেক সময় মানুষের শরীরের পিছন দিকে লেজ গজায়।
এই ধরণের অসুখকে ডাক্তারি ভাষায় লিপোমা বলে। এটা একধরণের ফ্যাটি টিসু, যার ভারটা শিঁরদাড়ার হাড়ে এসে পরে। এইধরণের অসুখের যদি সময়মতো চিকিত্সা না করা হয়, তাহলে অনেক সময়ই আক্রান্তের কোমরের নিচের অংশটা প্যারালিসিস হয়ে যায়।
ওই হাসপাতালের ডাক্তাররা জানায়, বসন্তের চিকিত্সার জন্য তার একটি অপারেশন করা হয়েছে। দুই ঘণ্টার অস্ত্রপচারের পর আপাতত সুস্থ বসন্ত। তবে তাকে আরো দুই সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হবে।