ভৈরবে ইয়াবা ব্যাংক : ১ লাখ টাকায় দিনে ১ হাজার টাকা মুনাফা!

ভৈরবে ইয়াবা ব্যাংক : ১ লাখ টাকায় দিনে ১ হাজার টাকা মুনাফা!

bank_iএক লাখ টাকায় দিনে এক হাজার টাকা মুনাফা! এরকমই একটি ব্যাংকের সন্ধান পাওয়া গেছে কিশোরগঞ্জের বন্দরনগরী ভৈরবে। কল্পনাকে হার মানানো এই ব্যাংকের নাম ‘ইয়াবা ব্যাংক’। 

নির্ভরযোগ্য সূত্র ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভৈরব পৌর এলাকার জগনাথপুর গ্রামের জিল্লু মিয়া ও আলামিন নামের দুই লোক এ ব্যাংকের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। ভৈরবে এ ইয়াবা ব্যাংকের শাখা রয়েছে অন্তত ৫০টি। প্রধান কার্যালয় বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা টেকনাফে। ব্যাংকটির শীর্ষ পর্যায়ে পরিচালকের সংখ্যা কমপক্ষে ১০০। তাদের বিনিয়োগকৃত এ ব্যাংকে প্রায় পুঁজি রয়েছে পাঁচ কোটি টাকার ওপরে। ভৈরবে আলামিন ও জিল্লু মিয়া হচ্ছেন ছোট পুঁজির দুই পরিচালক। এ ব্যাংকের পরিচালক পদ পেতে হলে মাত্র ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। ইয়াবা ব্যাংক পরিচালক আলামিন ও জিল্লু মিয়া দুজনই গত শুক্রবার গ্রেফতারের পর, তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে ও ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত একাধিক সূত্রে ও ভৈরব মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে ।  
 
শহরের পঞ্চবটি ও আমলাপাড়ার ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত একাধিক মাদক ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানাগেছে, তারা অনেকেই এ ব্যাংকে হিসাব খুলেছেন। কিন্তু আর্শ্চযের বিষয় হলো এ ব্যাংকের নেই কোনো অফিস, হিসাবের কোনো নম্বর নেই, নেই কোনো কাগজপত্রও। সব কিছইু চলে বিশ্বাস ও আস্থার উপড় ভিত্তি করে, শুধু মৌখিকভাবে। এছাড়াও লাভের বা মুনাফার  হিসাব বার্ষিক নয়, দিনের হিসাব দিনে। প্রতি লাখে মুনাফা এক হাজার, এতে কোনো সমস্যা নেই। বিনিয়োগ বেশি হলে লাভের পরিমাণও বেশি।   
 
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. তমিজ উদ্দিন মৃধা জানান, ইয়াবা ব্যাংক পরিচালনার কথা তিনি এ বছরই জানতে পেরেছেন। কিছু দিন আগে ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ এলাকার আকতার, বোরহান, মামুন, সপ্না, বাক্কাইরা নামে এ চক্র ইয়াবাসহ গ্রেফতার হওয়ার পরও এ চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে আসে। এ ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা এখন ভৈরবেই ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অনেকেই টাকা বিনিয়োগ করে দৈনিক তাদের মুনাফা বুঝে নিচ্ছেন। অনেকে আবার সরাসরি এ ইয়াবা বেচাকেনা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
অন্যান্য অর্থ বাণিজ্য বাংলাদেশ