ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার জন্ম ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জের লালদীঘি ফতেপুর গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধের আগে ছাত্রলীগ নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের হল ছাত্র সংসদের ভিপি হিসেবে আইয়ুব খানবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তিনি। এ কারণে ১৯৬২ সালে গ্রেফতার হন। এরপর থেকে আমৃত্যু তিনি মূলত রাজনীতির বাইরেই ছিলেন। ড. ওয়াজেদ মিয়া ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি জার্মানিতে ছিলেন। এরপর টানা প্রায় সাত বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফেরেন। কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা হোসেন পুতুল তার সন্তান।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে রংপুরের পীরগঞ্জের ফতেপুর লালদীঘি গ্রামে মরহুমের কবরে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, কবর জিয়ারত, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, স্মরণসভা ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও উপাসনালয়ে তার আত্মার শান্তি কামনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের মঙ্গল কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে ড. ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতিবিজড়িত রাজধানীর ধানমণ্ডির সুধা সদনের বাসায় দিনব্যাপী পবিত্র কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিকালে শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সকালে সেগুনবাগিচাস্থ খাজা নিজামউদ্দিন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে শেখ রাসেল শিশু সংসদ।