সহিংসতার মধ্য দিয়েই মঙ্গলবার ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘটা সহিংসতায় ৬ জন নিহত হয় বলে জানায় সংবাদমাধ্যম।
ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পূর্বেই এই নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছিলো। নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গোলযোগপূর্ণ এই দেশটিতে ব্যাপক সেনা মোতায়েন করা হয়।
ইয়েমেনের হাদরামাওয়াত প্রদেশের একটি ভোট কেন্দ্রের বাইরে বন্দুকধারীরা গুলি করে চার সেনাকে হত্যা করে। এছাড়া আল হাওতা জেলায় সংঘটিত অপর এক হামলায় দুই সেনা নিহত হয়। দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরী এডেনেও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় সংবাদমাধ্যম।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে সহিংসতা ঘটলেও রাজধানী সানায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় বলে জানায় সংবাদমাধ্যম। সকাল থেকেই ভোটাররা দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
ভোটাররা বর্তমান ভাইস-প্রেসিডেন্ট আব্দারাবুহ মনসুর হাদিকে ভোট দেন বলে জানিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা। তিনি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একমাত্র প্রার্থী।
বছরব্যাপী সহিংস সরকারবিরোধী আন্দোলনের পর আরব উপদ্বীপের সবচেয়ে দরিদ্র দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। সাবেক স্বৈর শাসক আলী আবদুল্লাহ সালেহর পরিবর্তে একজন নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ইয়েমেনের ভোটাররা ভোট দেন।
দীর্ঘ ত্রিশ বছরেরও বেশী সময় ধরে ইয়েমেনের ক্ষমতা আকড়ে থাকা সাবেক সেনা প্রধান আলী আবদুল্লাহ সালেহের পদত্যাগের দাবিতে গত বছর দেশটিতে গণআন্দোলনের সূচনা হয়।
প্রেসিডেন্ট সালেহ এ আন্দোলনকে দমানোর জন্য ব্যাপক দমনপীড়নের আশ্রয় নেন, এতে অসংখ্য লোক হতাহত হয়। অবশেষে ব্যাপক অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক চাপের মুখে টিকতে না পেরে তিনি একটি চুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন।