শিবিরকর্মী হত্যার ঘটনায় রামপুরা থানায় করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের অবশেষে জামিন মিলেছে হাইকোর্টে।
আদালত তাকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানকে জামিন দিলেও গয়েশ্বরের জামিন আবেদন শুনতে বিব্রতবোধ করেছিলেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
তবে আজ হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ ও বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী ও তার ছেলে মিথুন রায় চৌধুরী। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির। হাইকোর্টে দেয়া এই জামিন আদেশের ফলে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচিতে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় দক্ষিণখান থানার শিবিরের সভাপতি মানছুর প্রধানীয়া নিহত হবার ঘটনায় এ মামলা দায়ের হয়।
এর আগে একই মামলায় ঢাকা দায়রা জজ জহুরুল হকের আদালতে জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন। গত ২৩ এপ্রিল ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশীদ তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
গত ২০ এপ্রিল একই আদালত রামপুরা থানার একটি হত্যা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচিতে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় দক্ষিণখান থানার শিবিরের সভাপতি মানছুর প্রধানীয়া নিহত হবার ঘটনায় এ মামলা দায়ের হয়।
পরে আসামিরা গত ৯ মার্চ হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন পেয়েছিলেন তারা। জামিনের মেয়াদ শেষে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশে ২০ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে নিম্ন আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
এরপর তারা জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেন।