উত্তর কোরিয়ার হুশিয়ারির মধ্যেই পীত সাগরে অবস্থিত একটি বিতর্কিত দ্বীপের কাছাকাছি জলসীমায় সামরিক মহড়া চালিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
বিতর্কিত সমুদ্র সীমানার কাছে অনুষ্ঠিত এই সামরিক মহড়াকে কেন্দ্র করে দুই কোরিয়ার মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সামরিক মহড়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার তাজা গোলা ব্যবহারের ঘোষণা দেয়। এই মহড়াকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত উস্কানি হিসেবে নিন্দা জানিয়ে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেয় উত্তর কোরিয়া।
এই সামরিক মহড়া দু’ঘণ্টা স্থায়ী হয় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। তবে মহড়া চলাকালীন সময়ে পিয়ংইয়ংয়ের তরফে কোনও সামরিক তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।
২০১০ সালে উত্তর কোরিয়ার গোলা বর্ষণে চার দক্ষিণ কোরীয় সেনা নিহত হওয়ার স্থানেই এই সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয় বলে জানায় সংবাদমাধ্যম।
মহড়ার আগে রোববার উত্তর কোরিয়ার একজন সামরিক মূখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, উত্তর কোরিয়া তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশকে রক্ষা করার জন্য রক্ত উৎসর্গ করতে প্রস্তুত।
একটি যুদ্ধ বিরতির মাধ্যমে ১৯৫৩ সালে দুই কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শেষ হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও এই উপদ্বীপে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। উত্তর কোরিয়ার সাবেক সর্বোচ্চ নেতা কিম জং ইল দুই মাস আগে মারা যাওয়ার পর থেকে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে পরবর্তী সপ্তাহে বেইজিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা পিয়ং ইয়ংয়ের পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন। নতুন উত্তর কোরীয় নেতার দায়িত্বগ্রহণের পর এই প্রথম দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানায় সংবাদমাধ্যম।