আফগানিস্তানে মোতায়েন বিদেশী সেনাদের হাতে পবিত্র কোরআনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিক্ষোভে ফেঁটে পড়েছে আফগান জনগণ।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী তাদের এক ঘাঁটিতে পবিত্র কোরআন সহ অন্যান্য ইসলামি বই-পুস্তক আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে বলে জানায় সংবাদমাধ্যম।
এর প্রতিবাদে রাজধানী কাবুলের অদুরে বাগরাম বিমানবন্দরে অবস্থিত ন্যাটো ঘাঁটির সামনে কয়েক হাজার ক্ষুদ্ধ আফগান জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিক্ষোভকারীরা মার্কিন বিরোধী সেøাগান দেয়। এসময় বেশ কয়েকটি পেট্রোল বোমা ঘাঁটির মূল দরোজায় ছুড়ে মারা হয় বলে জানায় সংবাদমাধ্যম। ঘাঁটির নিরাপত্তা রক্ষীরা বিক্ষুদ্ধ জনগণকে ছত্রভঙ্গ করতে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
রাজধানী থেকে ৬০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত বাগরাম বিমান ঘাঁটিটি আফগানিস্তানে মোতায়েন ন্যাটো বাহিনীর সর্ববৃহৎ ঘাঁটিগুলোর মধ্যে অন্যতম।
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে, পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সিদিক সিদ্দিকি।
বাগরামের পাশাপাশি কাবুলের নিকটবর্তী পুল-ই-চারখি নামের এলাকাতেও ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। কাবুল-জালালাবাদ মহাসড়কের ধারে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ন্যাটো ঘাঁটির সামনে শতশত আফগান জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
এদিকে কোরআন অবমাননার ঘটনায় আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর প্রধান জেনারেল জন এলেন ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তিনি এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়ে ভবিষ্যতে আর এ ধরণের ঘটনা ঘটবে না বলেও অঙ্গীকার করেন।
ন্যাটো বাহিনী বাগরাম বিমান ঘাঁটিতে পবিত্র কোরআন সহ বিপুল পরিমান ইসলাম ধর্মীয় পুস্তক ও সামগ্রী ধ্বংস করেছে, এ তথ্য প্রথম জানান আফগানিস্তানের একজন শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা । এ তথ্য জানাজানি হলে আফগানিস্তানে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
অতীতেও এই ধরণের অবমাননার ঘটনায় আফগানিস্তানে বড় ধরনের সহিংসতার সূত্রপাত ঘটেছিলো, যার পরিণতিতে ধর্মপ্রান এই মুসলিম রাষ্ট্রটিতে বহু লোক হতাহত হয়।