শহরের নাজির শংকরপুর এলাকার একটি জমির সীমানা নির্ধারণের সময় মারপিট করে জখম, গুলি ও বোমা হামলার অভিযোগে যশোর পৌরসভার মেয়র নগর বিএনপির সভাপতি মারুফুল ইসলামসহ ১৪ জনের নামে আদালতে একটি মামলা হয়েছে।
সোমবার যশোর সদর উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামের এসএম আব্দুর রবের ছেলে আসাদুল হক আসাদ এ মামলা করেছেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল (২য়) আদালতের বিচারক মারুফ আহমেদ অভিযোগের সত্যতা পেলে এজাহার হিসেবে গণ্য করার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসিকে। অন্য আসামিরা হলো বকচর এলাকার মৃত সুলতান ড্রাইভারের ছেলে মুন্নু, মুড়লীর মৃত মৌলভী সুজা উল্লাহর ছেলে আইয়ুব আলী, নাজির শংকরপুরের মৃত হাজারীর ছেলে শরীফ, আব্দুর রউফের ছেলে আব্দুল হক কালু, মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে শহিদুল, মান্নান ড্রাইভারের ছেলে রশিদ, আকবর আলীর ছেলে নূর আলম, আইয়ুব আলীর ছেলে আনোয়ার, খলিলের ছেলে রফিকুল, আব্দুল মান্নানের ছেলে কাজল, শুকুর আলীর ছেলে লিটন, শংকরপুরের ওয়াজেদ দফাদারের ছেলে হাফিজ ও শংকরপুর দীঘিরপাড়ের ভোলার ছেলে ইবাদ আলী।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল আসাদুল হক আসাদ নাজির শংকরপুরে তার একটি জমির সীমানা নির্ধারণের জন্য লোকজন নিয়ে যান। সকাল ৯টার দিকে আসামিরা এসে সীমানা নির্ধারণের কাজে বাধা দেয়।
আসামিদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসাদ ও তার লোকজনকে মারপিট শুরু করে। লোকজন ছুটে আসলে আসামিরা কয়েক রাউন্ড গুলি ও কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় পাভেল, জাহাঙ্গীর ও তাপস গুরুতর আহত হয়।
এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ মামলা হিসেবে গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেন।