কমনওয়েলথ ব্যাংক সিরিজে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর মঙ্গলবার ভারতকে ৫১ রানে হারিয়েছে তারা। শ্রীলঙ্কার ২৮৯ রানের জবাবে ৪ ওভার ৫ বল বাকি থাকতেই ভেঙ্গে পড়ে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ।
শ্রীলঙ্কা ইনিংস: ২৮৯/৬ (ওভার ৫০)
ভারত ইনিংস: ২৩৮/১০ (ওভার ৪৫.১)
ফল: শ্রীলঙ্কা ৫১ রানে জয়ী।
২৯০ রানের লক্ষ্যে দলের খাতায় ১ রান যোগ হতে সাজঘরে ফেরেন ভারত অধিনায়ক শেবাগ (০)। আশা জাগিয়েও বেশিদূর যেতে পারেননি অপর উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার। নুয়ান কুলাসেকারার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৩ বলে করেন ২২ রান।
৩৮ রানে দুই উইকেট পরে যাওয়ার পর গম্ভীরের সঙ্গে যোগ দেন বিরাট কোহলি। তবে কোহলিকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া হয়নি গম্ভীরের। দলের স্কোরে আর ১৮ রান আসতে সাজঘরে ফেরেন গম্ভীর (২৯)। এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে রায়না ও কোহলি মিলে ৯২ রান যোগ করে আউট হন রায়না (৩২)।
দলের রান ১৭২ পৌঁছলে ব্যক্তিগত ৬৬ রানে কোহলিও সাজঘরে ফিরলে ম্যাচ চলে যায় শ্রীলঙ্কার হাতে। তবে ইরফান পাঠানের ৪৭ রানের কল্যানে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ২৩৮।
থিসারা পেরেরা শিকার করেন সর্বোচ্চ চার উইকেট। এছাড়া কুলাসেকারা তিনটি ও লাসিথ মালিঙ্গা পান দুই উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে। ব্যাটিংয়ে ভাল সূচনা করে জয়াবর্ধনে ও দিলশান। এই দুই ব্যাটসম্যান উদ্বোধনী জুটিতে ৯৫ রান তোলেন। পাঠানের বলে শেবাগের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে লঙ্কান অধিনায়ক করেন ৪৫ রান। এরপর বেশিদূর যেতে পারেননি অপর উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তিলকারতেœ দিলশান। স্কোরে আর ৯ রান যোগ করে সাজঘরে ফেরেন দিলশান (৫৪)।
এরপর লাহিরু থিরিমান্নের ৬৬ ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ৪৯ রানে ভর করে শেষ পর্যন্ত লঙ্কানদের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ২৮৯। ইরফান পাঠান ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট দখল করেন।
ম্যাচ সেরা বিবেচিত হন শ্রীলঙ্কার নুয়ান কুলাসেকারা।
এ জয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের কাছে হারের প্রতিশোধ নিলো শ্রীলঙ্কা।
প্রতিযোগিতায় তিন ম্যাচ জিতে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে ভারত ও শ্রীলঙ্কা উভয়েই দুটি করে ম্যাচ জিতেছে। নিজেদের মধ্যে আগের ম্যাচটি ড্র করেছিল তারা।