আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “বিএনপির নেতারা অনশন পালন করেছেন। আর তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া খাওয়া-দাওয়া করে বিকেল সাড়ে চারটায় এসেছিলেন অনশন ভাঙাতে।”
সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বীর উত্তম খাজা নিজামুদ্দিন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত ‘চলমান রাজনীতি বিষয়ক’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা তিনি এ মন্তব্য করেন।
রোববারের বিএনপির গণঅনশনকে ‘গণদুশমনের অনশন’ আখ্যা দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম বিএনপির অনশনের দিন প্রেস ক্লাবের আশপাশের খাবার ও পানীয় দোকানগুলোতে জমজমাট ব্যবসা হয়েছে। কারণ এটা গণঅনশন ছিল না গণভোজন ছিল।”
তিনি বলেন, “কয়েকদিন আগে খালেদা জিয়া সাংগঠনিক রেড অ্যালার্ট জারি করেছেন। আমি বলব, আপনার দলের লাল বাতি অনেক আগেই জ্বলে গেছে। এখন আর রেড অ্যালার্ট আর গ্রিন অ্যালার্ট জারি করে দল ও জোটকে রক্ষা করতে পারবেন না।”
নির্বাচন নিয়ে কোনো সংলাপ হবে না উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, “দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সংলাপ হতে পারে। তবে তিনটি শর্তে তা হতে পারে। বিএনপিকে নৈরাজ্যের রাজনীতি পরিহার, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ত্যাগ করা এবং নিজের জন্মদিন ১৫ আগস্ট পালনের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।”
খালেদা জিয়ার বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, “যখন এরশাদের কাছ থেকে সম্পত্তি নেন তখন তিনি প্রিয় দেবর।আজ আপনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হওয়ায় তিনি আপনার স্বামীর হত্যাকারী হয়ে গেল। আপনাকে মনে রাখতে হবে, এরশাদের আমলে ১০১ টাকা নামমূল্যে তার কাছ থেকে গুলশানের সবচেয়ে বড় বাড়িটি লিখে নিয়েছিলেন।”
নারায়ণগঞ্জসহ দেশের খুন-গুমের সঙ্গে বিএনপি জড়িত দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “কয়েকদিন আগে সাদেক হোসেন খোকা বলেছেন চোরাগোপ্তা হামলা করতে হবে। তার এই কথার এক সপ্তাহের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের গুমের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তারা অধিকাংশই আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য। এখন আর বুঝতে বাকি নেই যে বিএনপি এই কাজ করেছে।”
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহরনগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিম বলেন, “বিগত ২০ বছর যাবৎ আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে কোনো নেতৃত্ব আসছে না। তাই কোনো গুম-খুনের ঘটনা ঘটলে এক পক্ষ অপর পক্ষকে দোষারোপ করে। যে কারণে তৃণমূলে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আনার দরকার “
তিনি বলেন, “বিএনপির ওপর আস্থা হারিয়ে সারাদেশে অনেক মানুষ জামায়াতে যোগ দিচ্ছে। বিএনপির এই লোকগুলোকে আওয়ামী লীগে আনতে তৃণমূল আওয়ামী লীগকে কাজ করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা কামরুল হাসান, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী প্রমুখ