১৫ মে হতে দেশব্যাপী ছবিসহ ভোটারতালিকা হালনগাদের কাজ শুরু হচ্ছে। তিন পর্বে এ হালনাগাদের কাজ চলবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির এক সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
রবিবার সকালে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সারাদেশে তিন পর্বে হালনাগাদের কাজ চলবে। প্রথম পর্ব ১৫ মে হতে ২৪ মে পর্যন্ত, দ্বিতীয় পর্ব ১৫ জুন হতে ২৪ জুন পর্যন্ত, তৃতীয় পর্বে ১ সেপ্টেম্বর হতে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হওয়ার যোগ্যদের তথ্য সংগ্রহ করবেন। এ সময় তথ্য সংগ্রহকারীরা ভোটার তালিকা হতে কর্তনের জন্য মৃত ভোটারদের তথ্যও সংগ্রহ করবেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী বছরের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হবে তারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। যাদের জন্ম ১৯৯৭ সালের ১ জানুযারি বা তার আগে এবং যারা ইতোপূর্বে ভোটার হননি তাদেরকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ ক্ষেত্রে যারা ভোটার হয়েছেন অর্থাৎ যাদের নাম ভোটার তালিকায় আছে তাদের আর নতুন করে ভোটার হওয়ার প্রয়োজন নেই।
১৮ বছরের কম বয়সে, একটির বেশি ঠিকানায়, একবারের বেশি বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভোটার হলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাউকে ভোটার করার পূর্বে সে এর আগে ভোটার হয়েছে কিনা তা শনাক্তের জন্য তার আঙ্গুলের ছাপ ভোটার ডাটাবেইজ এর সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, কারও জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে নতুন করে ভোটার হওয়ার প্রয়োজন নেই। জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে এ বিষয়ে থানায় জিডি করে জিডির কপিসহ নতুন কার্ডের জন্য সংশিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। ভোটার তালিকা বা জাতীয় পরিচয়পত্রে কোন ভুল থাকলে তাও নির্ধারিত ফরমে আবেদন করে সংশোধন করা যাবে। কেউ যদি আবাসস্থল পরিবর্তন করেন তাহলে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করে ঠিকানা পরিবর্তন করা যাবে। ইতোপূর্বে যারা ভোটার হওয়ার জন্য ছবি তুলেছেন কিন্তু এখনও জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি তারা সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিস হতে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় কমিটির ওই সভায় স্বরাষ্ট্র, স্থানীয় সরকার বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি’র প্রতিনিধিরা, সকল বিভাগীয় কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও এর মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।