ছোট্ট একটি অ্যাপটুল। যা গুগল ড্রাইভে লিঙ্ক ধারক অর্থাৎ হাইপারলিঙ্ক ডকুমেন্ট আকারে সংরক্ষণ করা যায়। এরপর ডকুমেন্টটি ব্রাউজারের ওয়েব লিঙ্কে পেস্ট করে নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করলেই সর্বোচ্চ ১২০ মিনিটে হ্যাক করা যায় ফেসবুক অ্যাকাউন্ট।
সম্প্রতি অনলাইনে ফেসবুক হ্যাকিংয়ের এমন বেশ কিছু অ্যাপটুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে এসব টুলের সাহায্যে অন্য বন্ধুদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে গিয়ে অধিকাংশ সময়ই ব্যবহারকারীরা নিজের অ্যাকাউন্টকেই হ্যাকিং ঝুঁকিতে ফেলছেন।
নিজস্ব এক ব্লগ পোস্টে ভারতীয় অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা সিমানটেকের গবেষক সাৎনাম নারাং এ তথ্য প্রকাশ করেছেন।
নারাং জানান, ২০১১ সালে সর্বপ্রথম সেলফ- এক্সএসএস [সেলফ ক্রস- সাইট স্ক্রিপটিং] নামে শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে এক শিক্ষার্থী এ টুলটি তৈরি করেন। এ টুলের সাহায্যে তিনি নিজের একটি পেজে প্রায় পঞ্চাশ হাজার থেকে এক লাখ লাইক এবং অনুসারী তৈরিতে সমর্থ হন। এরপর থেকেই টুলটি ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
সম্প্রতি ফেসবুক ব্যবহারকারীরা সহজে বন্ধুদের অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের উদ্দেশ্যে এই টুলটির ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। তবে এ হ্যাকিং টুলটি বেশ ক্ষতিকর। কারণ এটি স্ক্যাম আকারে অন্যত্র দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে টুলটি ব্যবহারে হ্যাকিং করতে গিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজেই হ্যাকিং ঝুঁকিতে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা। তাই পেজে লাইক এবং অনুসারীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে কিংবা অন্যের অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ে এমন টুলের ব্যবহারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।-ওয়েবসাইট