এখন বয়স হয়েছে বলে ঠাণ্ডা কথা বলেন নারায়নগঞ্জের আলোচিত সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। আর আল্লাহর রহমতে ১৪ বছর ধরে তিনি তাহাজ্জদের নামাজ (মধ্যরাতের নফল নামাজ) কাযা করেননি। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে কোরআন পড়েন আবার কোরআন পড়ে ঘুমাতে যান।
শামীম ওসমান বলেন, ‘ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা কথা কই বয়স হইছে বইলা। ১৪ বছর ধইরা আল্লার রহমতে নামাজ কাযা করি নাই। তাহাজ্জতের নামাজও কাযা করিনাই। সকালে কোরআন পইড়া দিন শুরু করি। রাইতে আবার কোরআন পইড়া ঘুমাই। আবার ফজরে উইঠ্যা কোরআন পড়ি।’
ধর্মপ্রাণ শামীম ওসমান তার ইবাদত বন্দেগির ফিরিস্ত তুলে ধরতে গিয়ে এসব কথায় বলেন। নারায়ণগঞ্জে ৭ অপহরণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে যখন গণমাধ্যম ও প্রশাসনের তোলপাড়, অনেকে অভিযোগের আঙ্গুল যখন বিশেষ একটা গোষ্ঠীর দিকে তখন সমাবেশ ডেকে নিজের অবস্থান তুলে ধরলেন এমপি শামীম ওসমান।
হত্যার বিচার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি খুনিদের দিকেও স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন। এমনকি প্রমাণ হিসেবে খুনের পরিকল্পনার একটি তথাকথিত অডিও রেকর্ডও প্রকাশ করেছেন শামীম ওসমান। এসময় মেয়র সেলিনা হায়াত আইভিকে জড়িয়েও নানা কথা বলেন তিনি।
মেয়র আইভির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘১৮ তারিখে (মার্চ) নারায়ণগঞ্জে দুটি জনসভা হয়। তার একটিতে ছিলাম আমি আর অন্যটিতে আইভি। সে তখন বলেছিল, চন্দন শামীমের পা চাটা কুত্তা। এইটা কোনো ভাষা? এই ভাবে কখনো কোনো মানুষ মানুষকে বলতে পারে।’
পত্রিকার উদ্বৃতি দিয়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘আজকের প্রথম আলো পত্রিকায় আইভি একটা সাক্ষাৎকার দিয়েছে। সেখানে আইভি তার ভাইদের নাম আগে বলেনি। বলেছে সুফিয়ানের (যুবলীগ কর্মী ও ঠিকাদার) কথা। কারণ সে তার দরদের লোক। তারা দু’জনে মিলে সব রাস্তা-ঘাটের কাজ করে।’
চারদলীয় জোট সরকারের আমলের প্রসঙ্গ টেনে শামীম ওসমান বলেন, ‘সবাইরে মাফ কইরা দিছিলাম। যারা ৬টা বছর ধরে আমার বাড়ির ওপর হামলা করেছে ক্ষমতায় আইসা তো আমি তাদের গায়ে একটা টোকাও দেই নাই।’