‘সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন না হলে অস্থিরতা কাটবে না’

‘সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন না হলে অস্থিরতা কাটবে না’

image_80021“বিনিয়োগের আস্থা ফিরে আনতে হলে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে। তা না হলে অস্বস্তি ও অনিশ্চিয়তা কাটবে না বলে মন্তব্য করেছেন সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

রোববার দুপুরে রাজধানীর ব্রাক সেন্টারে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ২০১৪-১৫ বাজেটের সুপারিশ নিয়ে সাংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক ড. হামিদা খাতুন। সভাপত্বি করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, “আমরা অনেকেই ভেবেছিলাম একটি নির্বাচন হয়ে গেলেই বিনিয়োগ বাড়বে, অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। কিন্তু তা হয়নি। অর্থনৈতিক সূচকে দেখেছি, রাজস্ব আদায়ের বৃদ্ধির হার কমে যাচ্ছে, ব্যক্তিখাতে ঋণ প্রদানের হার বাড়েনি, রফতানি বৃদ্ধির হার কমে গেছে, রেমিটেন্সের আয়ের পতন ঘটেছে। নির্বাচন হয়েছে, তারপর পরিস্থিতি শান্ত হলেও অনিশ্চয়তার জন্য স্বস্থি ও আস্থার পরিবেশ ফিরে আসেনি।”

বিনিয়োগ না বাড়ার পিছনে ড. দেবপ্রিয় তিনটি কারণ চিহ্নিত করেন। প্রথমত, নীতির সম্বন্ধে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে যে অনিশ্চয়তা তা কাটেনি। দ্বিতীয়ত, সাধারণভাবে সম্পদের ওপরে মানুষের নিরপত্তার বিষয়ে যে আস্থা তা পরিষ্কার হয়নি। তৃতীয়ত, আরেকটি যুক্ত হয়েছে ব্যক্তিগত জীবনের নিরাপত্তাও বিভিন্ন ধরণের হুমকির মুখে রয়েছে। যখন নীতি, সম্পদ ও ব্যক্তিজীবনের নিরাপত্তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয় তখন শুধু বিনিয়োগ নয় সব ক্ষেত্রেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে এখন যে অবস্থা যাচ্ছে তাতে শুধু বিনিয়োগ নয়, তার অভ্যন্তরীণ সঞ্চয়কে প্রভাবিত করছে। এর ফলে দেশের বাইরে অর্থ পাচারের প্রবণতা বাড়বে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। অর্থপাচারের প্রবণতা যদি বাড়ে তাহলে আগামী বাজেটে অর্থায়ন করার ক্ষেত্রে বড় সমস্যায় পড়তে হবে।”

এক প্রশ্নের জবাবে ড. দেবপ্রিয় বলেন, “সরকার যেকোনো ধরণের অবৈধ আয় বা সম্পদকে বৈধ করণের জন্য যেকোনো ধরণের সুবিধা দেয়ার আমরা বিরোধিতা করেছি। যারা এই আয় বা সম্পদকে মূলধারায় নিয়ে আসতে যুক্তি দেখিয়ে থাকেন প্রকৃতপক্ষে অর্থনৈতিক মূল ধারায় তা নিয়ে আসা সম্ভব নয়। বাস্তবতা বলে এই সুযোগ দেয়া হলেও অবৈধ সম্পদ বা আয় তেমন বিনিয়োগ হয় না। উল্টো এর মাধ্যমে কর ফাঁকি দেয়া ও আইনের বরখেলাপের সংস্কৃতি গড়ে উঠবে। যা দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়।

অর্থ বাণিজ্য শীর্ষ খবর