ঢাকা: সালিশি পদ্ধতিতে নিষ্পত্তির মাধ্যমে যুবক`র প্রতারিত গ্রাহকদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
মঙ্গলবার দুপুরে অর্থমন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান।
মন্ত্রী জানান, যুবকের প্রতারিত গ্রাহকদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে গঠিত ‘যুবক কমিশন’-এর চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন।
বৈঠকে এ সংক্রান্ত বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়েছে। এর আগে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক দাতা সংস্থা ডিএফআইডি এবং অস্ট্রেলিয়া এইড-এর প্রতিনিধিরা মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
তিনি বলেন, যারা প্রতারিত হয়েছে যতটুকু সম্ভব আমরা তাদের সাহায্য করতে চাই। তাদের দাবি পূরণ করতে চাই। তবে পুরোপুরি পূরণ করা সম্ভব হবে না। আর এ বিষয়ে মামলা-মোকদ্দমা করেও তেমন লাভ হবে না। এতে জটিলতা বাড়বে ও কালক্ষেপণ হবে।
মন্ত্রী বলেন, যুবকের কিছু সম্পত্তি আছে। কমিশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যুবকের সম্পত্তিসমূহ চিহ্নিত করে এগুলো বিক্রি করে কিভাবে প্রতারিত গ্রাহকদের দাবি পূরণ করা যায় সে ব্যপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। এ জন্য কমিশনকে দু’বছর সময় দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে যুবক কমিশন চেয়ারম্যান সালিশি পদ্ধতিতে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য মন্ত্রীকে পরামর্শ দেন এবং পাশাপাশি কাজটি সম্পন্ন করতে তাদের সময় আরও কিছুদিন বেশি লাগবে এবং জনবল প্রয়োজন বলে মন্ত্রী জানান।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চে দুই সদস্য বিশিষ্ট যুবক কমিশন গঠন করা হয়। হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন ভবনে এর কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। কমিশন তার কাজের জন্য ব্যাংকিং খাতের জনবল চেয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী জানান।
কমিশনের বরাত দিয়ে মন্ত্রী জানান, যুবকের প্রতারিত বহু গ্রাহক প্রতিদিন কমিশনে ভীড় করছে। এই চাপ সালাতে গিয়ে তাদের কাজেরও ব্যাঘাত ঘটছে। তিনি বলেন, বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য যুবকের কমকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন বলে মনে করছে কমিশন। কিন্তু আইনের ভয়ে তারা এখন সামনে আসছে না।
এদিকে কমিশন গঠন হওয়ার পরই যুবকের সম্পত্তি কমিশন ছাড়া অন্য কেউ বিক্রি করতে পারবে না এ মর্মে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তারপরও চুপিচুপি যুবক সম্পত্তি বিক্রি করছে এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা আসলে আমাদের সামাজিক চরিত্র। যুবকের মতো হায় হায় কোম্পানি আমাদের এখানে বৃটিশ যুগেও ছিল। মানুষ দ্রুত বড়লোক হওয়ার জন্য লোভে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়।
এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে সরকার কেন লাইসেন্স দিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখন এ ধরনের লাইসেন্স প্রদান সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।