রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজে খাবার পানি নেয়াকে কেন্দ্র করে লিজা আক্তার নামের শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটানোর খবর প্রকাশ হওয়ায় ওই ছাত্রীকে রোববার বিকেলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ছাত্রলীগ। তা না হলে তার হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়ার হুমকি দিয়েছে তারা। কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নার্গিস আক্তার এ নির্দেশ দেন।
শনিবার রাতে কলেজের জেবুন্নেছা হলে পানি নেয়াকে কেন্দ্র করে কলেজের বাংলা বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী লিজাকে মারধর করেন ছাত্রলীগের নেত্রীরা।
এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই ওই ছাত্রীকে আবারও মারধরের চেষ্টা করে ছাত্রলীগের নেত্রীরা।
আজ রোববার সকালে অর্ধশতাধিক ছাত্রলীগের নেত্রীদের নিয়ে ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নার্গিস ওই ছাত্রীকে হল থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। তারা কোনোভাবেই ওই ছাত্রীকে হলে রাখতে আগ্রহী নন বলে জানা গেছে। মারধরের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার বিষয়টি তাদের মান-সম্মানে আঘাত হেনেছে বলেই লিজাকে হলে রাখতে চাইছেন না ছাত্রলীগের নেত্রীরা।
এদিকে জেবুন্নেসা হলের সহকারী হোস্টেল সুপার আকলিমা খাতুন বলেছেন, ‘ছাত্রলীগের নেত্রীরা যা করবে তাই হবে।’
এদিকে হল প্রশাসন সব সময় ছাত্রলগের পক্ষে অবস্থান নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সেটা ভালো কাজ হোক আর মন্দ কাজ হোক।
উল্লেখ্য, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেবুন্নেছা হলের সামনে খাবার পানি নিতে যান ২০৫ নম্বর কক্ষের লিজা আক্তার। সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে পানি নিলেও নিয়মে ভেঙে সবার আগে পানি নিতে চান একই হলের ৪১৫ নম্বর কক্ষের একছাত্রী। এতে বাধা দিলে লিজার সঙ্গে তুমুল তর্ক বাঁধে তার। এসময় দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান ওই ছাত্রী।
ওই ছাত্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নার্গিস আক্তারকে বিষয়টি জানান। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নার্গিসের নেতৃত্বে দলবলে লিজার কক্ষে এসে তাকে ব্যাপক মারধর করে।
বিষয়টি সহকারী হল সুপার আকলিমা খাতুন জানতে পেরে লিজাকে ছাত্রলীগ নেত্রীর পা ধরে ক্ষমা চাইতে বলেন। জানের ভয়ে লিজা রাজি হন। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট হয়নি ছাত্রলীগ নেত্রীরা।