‘শহীদ মিনার ভরে গেছে ফুলে ফুলে’ গানটি ছয় বছর আগে অমর একুশে উপলক্ষে রেডিওতে গেয়েছিলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের কথা ও সমর দাসের সুরে তার গাওয়া এই হৃদয় ছুঁয়েছিল অসংখ্য শ্রোতার। এবারের অমর একুশে উপলক্ষে নতুন একটি ভাষার গানে সম্প্রতি এন্ড্রু কিশোর কণ্ঠ দিয়েছেন।
তুমুল জনপ্রিয় গায়ক এন্ড্রু কিশোর তার সঙ্গীত জীবনে বেশিরভাগ সময় প্লে-ব্যাক নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। এই ব্যস্ততার ফাঁকেই মাঝেমধ্যে তিনি দেশের গানও গেয়েছেন। দেশকে নিয়ে গান গাওয়ার প্রতি তার ভেতর সব সময়ই আলাদা উৎসাহ কাজ করে। তবে গান গাওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত থাকে একটাই, গীতিকার এবং সুরকার-সংগীত পরিচালক হতে হবে অভিজ্ঞ। ঠিক তেমনি অভিজ্ঞ একজন গীতিকবি এবং অভিজ্ঞ একজন সংগীত পরিচালকের সুর ও সংগীতায়োজনে প্রায় ছয় বছর পর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস তথা একুশের জন্য একটি গান গাইলেন এন্ড্রু কিশোর।
বরেণ্য গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের কথায় ও সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদের সুর ও সংগীতায়োজনে সম্প্রতি নতুন একটি একুশের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এন্ড্রু কিশোর। ‘পলাশের দিনে পলাশ হয়েই ঘরে ফিরেছিলো খোকা, দেখেনি জননী কখনও কোথাও এতো লাল থোকা থোকা’ শীর্ষক একুশের এই গানটির রেকর্ডি হয় ফরিদ আহমেদের নিউ ইস্কাটনের রেস স্টুডিওতে।
নতুন গাওয়া এই একুশের গানটি প্রসঙ্গে এন্ড্রু কিশোর বলেন, ‘ মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান আমার প্রিয় একজন গীতিকার। ছোটবেলা থেকেই রফিক ভাইয়ের গানের প্রতি আমার ভীষণ দুর্বলতা। তার লেখা গানে শব্দের গাঁথুনি খুবই শৈল্পিক ও নান্দনিক, যা এই সময়ের অনেকের মাঝেই অনুপস্থিত। তার লেখা নতুন এই একুশের গানটির কথাও অসাধারণ। পাশাপাশি ফরিদ ভাইও অসাধারণ সুর করেছেন, বরাবরই তিনি তা করেন। গানটি শ্রোতাদের ভাল লাগবে।’
২১শে ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ বেতারের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে একটি গানটি প্রচার হবে বলে জানিয়েছেন এন্ড্রু কিশোর।