সাংস্কৃতিক অঙ্গনের চার বরেণ্য ব্যক্তিত্বকে এবার একুশে পদক প্রদান করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন তারেক মাসুদ (মরণোত্তর), মিশুক মুনীর (মরণোত্তর), ড. ইনামুল হক এবং মামুনুর রশীদ । রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত বছরের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তারেক মাসুদ ছিলেন চলচ্চিত্রকার এবং মিশুক মুনীর ছিলেন চিত্রগ্রাহক। ড. ইনামুল হক ও মামুনুর রশীদ হলেন প্রখ্যাত অভিনেতা ও নাট্য নির্দেশক। এখনো মঞ্চ, চলচ্চিত্র ও টিভি পর্দায় তার কাজ করে চলেছেন।
বাংলানিউজ ড. ইনামুল হক ও মামুনুর রশীদের কাছে জানতে চেয়েছিল ‘একুশে পদক ২০১২’ প্রাপ্তির অনুভূতি।
নাট্যাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক প্রাপ্তির অনুভূতি জানিয়ে ড. ইনামুল হক বলেন, একুশে পদকের মাধ্যমে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি পাওয়ায় আমি আনন্দিত। আমি নিজেকে ভাগ্যবান করি, কারণ বেঁচে থাকা অবস্থাতেই আমাকে এ পদক প্রদান করা হয়েছে। আমাদের দেশে তো মৃত্যুর পর মানুষকে স্বীকৃতি জানানোর রেওয়াজ প্রচলিত। স্বীকৃতি জীবিত মানুষের ভিতর অনুপ্রেরণা তৈরি করে, কাজের গতি বাড়িয়ে দেয়। মৃত মানুষের ভিতর স্বীকৃতি কোনো অনুপ্রেরণা তৈরি করে কিনা আমি জানি না।
নাট্যকর্মে অনন্য অবদানের জন্য একুশে পদক প্রাপ্তিতে আনন্দ প্রকাশের পাশাপাশি মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তিনি বলেন, ‘ অনেক যোগ্য লোক এই পদক পেয়েছে, তার চেয়ে বেশি পেয়েছে অযোগ্য লোক। এটি একটি জাতীয় পুরস্কার, অবশ্যই এটি তাই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য লোকেরই পাওয়া উচিত। আমি ১৯৯৯ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় একবার একুশে পদক পেয়েছিলাম। এ ব্যাপারে আমাকে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানানোও হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আমার নাম কেটে তৎকালীন তত্বাবধায়ক সরকারপ্রধানের ভায়রা ভাই আমিনুল হকের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এ কথা সবাই জানে। আর এ পদক আমি এবার পেয়েছি খুবই খুশির খবর, তবে এটা অনেক আগেই আমার পাওয়া উচিত ছিল।’